আজ থেকে লঙ্কার দাম কমবে, মনে করছে রাজ্যের টাস্ক ফোর্স
বর্তমান | ০৫ জুলাই ২০২৩
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা ও হাওড়া: বাজারে লঙ্কার জ্বালায় পকেট পুড়ে যাচ্ছে মধ্যবিত্তের। সেই আগুনে খানিকটা জল পড়তে চলেছে। মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের ছয় সদস্যের একটি দল কোলে মার্কেট পরিদর্শন করে। দলের সদস্যদের বক্তব্য, এদিন পাইকারি বাজারে লঙ্কার দাম কমে কিলো প্রতি ৬০ টাকা হয়েছে। সূত্রের খবর, বুধবার থেকে খোলা বাজারে লঙ্কার দাম কিলো প্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যেই থাকবে। ইতিমধ্যেই কাটিহার সহ অন্যান্য জায়গা থেকে লঙ্কা এ রাজ্যের বাজারে আসছে। যার ফলে এর দাম অনেকটাই কমবে বলে মনে করছে প্রশাসন ও ব্যবসায়ী মহলও।
মঙ্গলবার সকালে প্রায় ঘণ্টা দু’য়েকেরও বেশি সময় টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা কোলে মার্কেটে দোকান পরিদর্শন করেন। পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথাবার্তাও হয় তাঁদের। সদস্যদের বক্তব্য, শুধু লঙ্কা নয়, আদা, টম্যাটো, পটলের মতো সব্জিও ভিন রাজ্য থেকে আসা শুরু হয়েছে। পটল, ঢ্যাঁড়স. কাঁচকলা, ফুলকপির দাম এদিন পাইকারি বাজারে ১০ থেকে ২০ টাকার মতো কম ছিল। আগামী দু-একদিনের মধ্যে কলকাতা সহ সংলগ্ন এলাকার বাজারগুলিতে এইসব সব্জির দাম খানিকটা হলেও কম থাকবে। তবে আদা কিংবা টম্যাটোর মতো সব্জি বাইরে থেকে আমদানি করতে হচ্ছে, তাই এগুলোর দাম কতটা কমবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে আমদানি ঠিকঠাক থাকলে সব্জির দাম নিয়ন্ত্রণেই থাকবে বলে মনে করছেন তাঁরা। আজ, বুধবার টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা মানিকতলা, হাতিবাগান, লেকটাউনের ভিআইপি বাজার পরিদর্শনে যেতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে বলেন, ‘গ্রামের দিকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে সব্জির দাম কমবে বলে আশা করা যায়।’
এরই মধ্যে খবর আসছে, ঘোজাডাঙা, বেনাপোল, পেট্রাপোল দিয়ে গত তিন দিনে ১২ হাজার ৩০০ কিলোর মতো লঙ্কা বাংলাদেশে গিয়েছে। আশঙ্কা, এই বিপুল পরিমাণ লঙ্কা দেশের বাইরে রপ্তানি হওয়ার প্রভাব পড়বে এ রাজ্যের বাজারে। কলকাতার পাশাপাশি হাওড়ার বাজারেও হানা দিয়েছিল টাস্ক ফোর্সের অন্য একটি দল। মোট ছয় সদস্যের দলটি হাওড়ার কালীবাবুর বাজার, কদমতলা বাজার ও হাওড়া স্টেশন লাগোয়া পাইকারি বাজারে গিয়েছিল। সেখানে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন দলটির সদস্যরা। প্রগতিশীল হকার্স ইউনিয়নের মধ্য হাওড়া ইউনিটের সভাপতি সমর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘কাঁচা আনাজের মূল্যবৃদ্ধি কেন হচ্ছে তা জানতে বাজার পরিদর্শন করেছে টাস্ক ফোর্স।