• ভোট বয়কটের দাবি জোরদার হচ্ছে নিউটাউনে
    বর্তমান | ০৫ জুলাই ২০২৩
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচন মানেই গ্রামীণ এলাকার ভোট। কিন্তু, সেই ভোট হচ্ছে স্মার্টসিটি নিউটাউন শহরে! তা নিয়ে নিঃশব্দ বিপ্লব চলছিলই। শহরে এই ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন প্রায় ১২ হাজার নাগরিক। সেই বয়কটের দাবি আরও জোরদার হচ্ছে। নিউটাউনের শহরের বিস্তীর্ণ এলাকায় টাঙানো হয়েছে ব্যানার ও হোর্ডিং। তাতে লেখা, ‘ভোট বয়কট’। মাত্র দু’দিন পর ভোট। তার আগে নাগরিকদের এই ধরনের প্রতিবাদে কার্যত বিপাকে পড়েছে সবপক্ষই। অস্বস্তিতে পড়েছে প্রশাসনও।

    প্রসঙ্গত, গ্রাম পঞ্চায়েতের দু’টি আসন ছিল নিউটাউনের মধ্যে। কিন্তু, জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে এবার আসন পুনর্বিন্যাসের জেরে দু’টি থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮টি। তাই নিউটাউনের বিশ্ববাংলা গেট সংলগ্ন অ্যাকশন এরিয়া-১ থেকে বিস্তীর্ণ এলাকা এখন গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে! তা নিয়েই চলছিল আপত্তি। শহরের বাসিন্দাদের কথায়, গ্রাম ক্রমশ শহর হয়। কিন্তু, শহর কোনওদিন গ্রাম হয়ে যায়, দেখিনি। বাসিন্দা সার্টিফিকেট, সম্পত্তিকর, মিউটেশন সহ যাবতীয় পরিষেবা নিউটাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি তথা এনকেডিএ দিয়ে থাকে। তাই শহরে কেন গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোট হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা।

    মঙ্গলবার সকাল থেকেই শহরজুড়ে ভোট বয়কটের ব্যানার ও হোর্ডিংয়ে ছেয়ে ফেলা হয়। তাতে লেখা রয়েছে, ‘ভোট বয়কট, পঞ্চায়েত ভোট ইন এনকেডিএ এরিয়া’। নীচে লেখা, ‘বাই রেসিডেন্স অব নিউটাউন’। নাগরিকদের দাবি, স্মার্টসিটি বলেই তাঁরা কেউ ফ্ল্যাট কিনেছেন, কেউ বাড়ি বানিয়েছেন। হঠাৎ করে, শুনতে হচ্ছে স্মার্টসিটি নাকি পঞ্চায়েতের অধীনে! এই ভোট বয়কটের ব্যানার নজরে গিয়েছে, সব রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের কানে। খবর পৌঁছে গিয়েছে কমিশনের কাছেও। প্রশাসনের দাবি, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও নেওয়া হবে। দরকার হলে ভোটের বিপক্ষে যাঁরা ডাক দিয়েছেন, সেই সমস্ত নাগরিকের সঙ্গে কথা বলা হবে, যাতে সমস্যা মিটে যায়। নিউটাউন ফোরাম অ্যান্ড নিউজ সংগঠনের দাবি, তাদের সঙ্গে মঙ্গলবার পর্যন্ত কেউ কোনও যোগাযোগ করেনি। তাই জটিলতা থেকেই গিয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)