• তৃণমূল প্রার্থীকে গুলি, পুলিসকে লাঠি-বাঁশ হাতে বাধা মহিলাদের কুলতলির মেরিগঞ্জে উত্তেজনা
    বর্তমান | ০৫ জুলাই ২০২৩
  • সংবাদদাতা, বারুইপুর: প্রচার চলাকালীন গুলিবিদ্ধ হলেন গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থী কুতুবুদ্দিন ঘরামি। অভিযোগ, এসইউসিআই এবং সিপিএমের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়েছে। গুলি লেগেছে প্রার্থীর বাঁ পায়ে। বর্তমানে তিনি জয়নগর-কুলতলি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি। পুলিস এই ঘটনায় দু’জনকে আটক করেছে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কুলতলি থানার মেরিগঞ্জ ১ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকায়। এর জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কুলতলির বিধায়ক গণেশ মণ্ডল বলেন, এসইউসিআই এবং সিপিএমের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা পরিকল্পিতভাবে আমাদের প্রার্থীকে গুলি করেছে। পুলিস অভিযুক্তদের খোঁজে এলাকায় তল্লাশি করতে গেলে লাঠি, বাঁশ নিয়ে তাঁদের পথ আটকান মহিলারা। বিধায়কের দাবি, ওই দুই দলের লোকজনই পুলিসের উপর হামলা চালিয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে গোটা ঘটনা জানানো হয়েছে।

    গুলিচালনার অভিযোগ অস্বীকার করে সিপিএমের কুলতলি এরিয়া কমিটির সম্পাদক উদয় মণ্ডল বলেন, তৃণমূলের প্রার্থী সহানুভূতি আদায়ের জন্য নিজেই নিজের পায়ে ক্ষত তৈরি করে সিপিএম কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করেছেন। পুলিস ও তৃণমূলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে গোটা গ্রাম ফুঁসছে। পুলিস ওই গ্রামে গেলে তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন গ্রামবাসীরা। এসইউসিআইয়ের প্রাক্তন বিধায়ক জয়কৃষ্ণ হালদার বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করেছেন তৃণমূল প্রার্থী। চক্রান্ত করে আমাদের কর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে।

    এদিকে, মেরিগঞ্জ ১ নম্বর পঞ্চায়েতের ১১ নম্বর বুথের তৃণমূল প্রার্থী কুতুবুদ্দিন ঘরামি বলেন, প্রচার চলাকালীন আমাকে গুলি করে খুনের চেষ্টা করে এসইউসিআই ও সিপিএমের দুষ্কৃতীরা। আমি পালিয়ে জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছিলাম। পুলিস সেখান থেকে আমাকে উদ্ধার করে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সকালে ওই এলাকায় যান এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস ও আইসি অর্ধেন্দুশেখর দে সরকার। তার আগে রাতভর তল্লাশি চালায় পুলিস।

    ঘরামিপাড়া এলাকায় অভিযুক্তদের খোঁজে পুলিস তল্লাশি করতে গেলে গ্রামের মহিলারা লাঠি, বাঁশ নিয়ে পুলিসের দিকে তেড়ে আসেন। পুলিসকে ঢুকতে বাধা দেন তাঁরা। এমনকী, আইসি’র হাত থেকে লাঠি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন মহিলারা। পরে অবশ্য পুলিসের হস্তক্ষেপেই পরিস্থিতি শান্ত হয়। মহিলারা বলেন, আমরা সিপিএমের কর্মী-সমর্থক। পুলিস বাড়িতে এসে নিত্যদিন অত্যাচার চালাচ্ছে। পুরুষ সদস্যরা অনেকেই ভয়ে ঘরছাড়া। এর প্রতিবাদেই আমরা তাঁদের পথ আটকেছিলাম। এদিন বিকেলে এই এলাকায় গিয়ে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনিও পুলিসের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হন। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)