রাসবিহারীর প্রতাপাদিত্য রোডে সিপিএমের বিপণিতে সপ্তমীর রাতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগের তির ছিল তৃণমূলের ‘আশ্রিত দুষ্কৃতী’দের দিকে। অভিযোগ, ওই বইয়ের বিপণিতে ‘চোর ধরো, জেল ভরো’র পোস্টার দেখেই শাসক দলের আপত্তির সূত্রপাত।
সেই ঘটনায় প্রতিবাদে সোমবার রাসবিহারী অ্যাভিনিউ ও প্রতাপাদিত্য রোডের সংযোগস্থলে জমায়েত করে ফের বই বিপণি চালু করার ডাক দিয়েছিল সিপিএম। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কমলেশ্বর, আইনজীবী তথা সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, রবীন দেব, সিপিএমের কলকাতা জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদার, গৌতম গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ। প্রতিবাদ-সভা এবং বই বিপণি ফের চালু করার সময়ে আবার গোলমাল বাধে। সিপিএমের অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বারবার হামলা চালালেও গ্রেফতার করা হয়েছে প্রতিবাদীদের।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, সিপিএমের ওই পুস্তক বিপণি খোলা নিয়ে স্থানীয় পুজো কমিটির সঙ্গে গোলমাল বাধে। প্রতিবাদ সভা ঘিরে সোমবার আবার গোলমাল হয়। ঝামেলা এড়াতে গ্রেফতার করা হয় কমলেশ্বর, কল্লোল-সহ বেশ কয়েক জনকে। রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের মন্তব্য, ‘‘পুজো কমিটির অসুবিধা তো হতেই পারে। পুজোর ভিড়ের মধ্যে স্টল খুলতেই হবে কেন? পুজোর পরে রবিবার দেখে ওঁরা এ সব করতে পারেন। গোলমাল হচ্ছে দেখে পুলিশ প্রশাসনিক পদক্ষেপ করেছে।’’
মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআরের পক্ষে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘রাসবিহারীতে সিপিআই(এম) দলের বইয়ের স্টলে তৃণমূলের হামলাকে আমরা অশনিসংকেত বলে মনে করি এবং তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আজ পুলিশ যেভাবে প্রতিবাদী জমায়েতে ভেঙে দিল এবং কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়-সহ বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করল তারও তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা গ্রেপ্তার হওয়া সকল প্রতিবাদীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।’