• অষ্টমীর সন্ধ্যায় ‘আটক’ কমলেশ্বর! তুলে নিয়ে গেল পুলিশ, প্রতিবাদ সৃজিতের
    ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস | ০৪ অক্টোবর ২০২২
  • অষ্টমীর সন্ধ্যায় দুঃসংবাদ! পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়কে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ। তবে শুধু টলিউড পরিচালকই নন, সঙ্গে আরও কয়েকজন বামনেতাও আটক হয়েছেন রাসবিহারি থেকে।

    প্রসঙ্গত, পুজোর মধ্যেও বাংলার রাজনৈতিক তরজা অব্য়াহত। সম্প্রতি বাম শিবিরের বুক স্টলে গিয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবার তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিল বামেরা। কমলেশ্বর নিজেও ফেসবুকে সেই সভায় যোগ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন বামেদের পক্ষ থেকে। পরিচালক নিজেও আজ অষ্টমীর দিন উপস্থিত ছিলেন রাসবিহারির সেই প্রতিবাদ সভায়। সেখানেই ঘটে গেল কেলেঙ্কারি কাণ্ড!

    প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন রবীন দেব, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, গৌতম গঙ্গোপাধ্যায় থেকে কল্লোল মজুমদারদের মতো বিশিষ্ট বামনেতারা। ছিলেন কমলেশ্বর নিজেও। সভা শুরুর খানিকবাদেই সেখানে এসে উপস্থিত হয় পুলিশ। এরপরই সব বামনেতা এবং কমলেশ্বরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ. ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন টলিউডের আরেক পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়।

    কমলেশ্বরকে আটক করার খবর প্রকাশ্যে আসতেই প্রতিবাদী আওয়াজ তোলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। তাঁর মন্তব্য, “বইকে ভয় পাচ্ছে? বই?.. ডাঃ কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করার প্রতিবাদ করতে গিয়ে সত্যিই আমি কোনও ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। যাই হোক না কেন, তোমার পাশে আছি কমলদা।”

    প্রসঙ্গত, সোমবার কমলেশ্বর নিজেই প্রতিবাদী সভায় যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, “বামপন্থীরা বহু বছর ধরেই (ক্ষমতায় থাকা বা না থাকাকালীন) পুজোর সময় বিভিন্ন অঞ্চলে বইয়ের স্টল দিয়ে থাকেন। অনেকেই স্বেচ্ছায় বই কেনেন (যেমন মানুষ বই কেনেন বই মেলায়) । সেই সব স্টলে মার্ক্সীয় দর্শন বা প্রয়োগের ওপর লেখা বই ছাড়াও অনেক প্রথিতযশা সাহিত্যিকের সাহিত্যকর্ম থাকে। প্রশ্ন হলো : বই বিক্রি করে জনসাধারণের চেতনার উন্মেষ ঘটানোর প্রক্রিয়া কি গণতান্ত্রিক নয় ? বইয়ের স্টল থেকে তো কাউকে জোর করে বই কিনতে বলা হয় না এবং তা পুজোর আনন্দে কখনো ব্যাঘাত ঘটায় না। সেক্ষেত্রে বামেদের দেওয়া বইয়ের স্টল ভেঙে দেওয়া বা স্টলে বসা মধ্যবয়স্ক ও প্রৌঢ় মানুষকে মারধর করার কোন রাজনৈতিক যুক্তি আছে কী ? এ ঘটনা গণতান্ত্রিক মানুষকে ভাবাবে না ?যাঁরা বই লেখেন, পড়েন বা পাবলিস করেন তাঁদের এই প্রতিবাদে অংশ নেওয়া উচিৎ নয় কী ? যাঁরা বামপন্থায় বিশ্বাস রাখেন বা বাম ঐক্যের কথা বলেন তাঁদের এই প্রতিবাদ সভায় অংশ নেওয়া প্রয়োজন নয় কী ? সংশ্লিষ্ট জনমাধ্যমের কর্মীদেরও কী আমরা পাশে পাবো না ? নতুবা এই শাসক দল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ও নিষ্ক্রিয় পুলিশ প্রশাসন একদিন আপনার হাতের বইটাও কেড়ে নেবে।”
  • Link to this news (ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)