• আজ ভোটের ফল
    বর্তমান | ১১ জুলাই ২০২৩
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: জোড়াফুল নাকি ‘বাম-রাম-খাম ও হাত’-এর রামধনু জোট! গ্রামবাংলা কার? কারা গঠন করবে জেলা পরিষদ? কাদের দখলে থাকবে পঞ্চায়েত সমিতি? গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে কাদের ভিত শক্ত, কাদেরটাই বা নড়বড়ে? সবটাই জানা যাবে আজ, মঙ্গলবার। সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে ভোট গণনা। রাজ্যের ২২টি জেলার গ্রামীণ মানুষের মতামত ব্যালট বাক্সে বন্দি হয়ে রয়েছে ৭৬৭টি স্ট্রংরুমে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার মোট ৩৩৯টি ভোট গণনাকেন্দ্রে সেই ব্যালট বাক্স খোলার পর্ব ঘিরে শুরু হয়েছে তুমুল রাজনৈতিক উত্তেজনা। গত শনিবার ভোট গ্রহণ পর্বের হিংসা-অশান্তির পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে নির্বাচন কমিশন। ১৪৪ ধারা জারি থাকছে ভোট গণনাকেন্দ্রে। থাকছে সিসি ক্যামেরার নজরদারিও। এক কোম্পানি আধা সেনা জওয়ানের ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার সঙ্গে বাইরেও স্পর্শকাতর এলাকাগুলির পাহারায় মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিস। 

    কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে পঞ্চায়েত, তারপর সমিতি এবং শেষে জেলা পরিষদের ব্যালট গোনার কাজ হবে। তবে এই পর্বে নতুন এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কমিশন। ব্যালট পেপারের পিছনে কমিশনের সিলমোহর না থাকলে, তা অবৈধ বলে ধরা হবে। এই বিপুল গণনা পর্ব একদিনে শেষ হওয়ার সম্ভাবনা কম। তাই পরের দিন, বুধবারও চলবে প্রক্রিয়া। তবে কার দখলে থাকছে গ্রাম বাংলা, সেই আভাস মিলবে রাতের মধ্যেই। এই আবর্তেই শনিবারের ভোট হিংসায় আরও চারজনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। তাতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২২। সোমবার সম্পন্ন হয়েছে পুনর্নির্বাচন পর্বও। শনিবার হিংসা, সন্ত্রাস, দেদার ছাপ্পা, বুথ দখল, ব্যালট পেপার ও বাক্স ছিনতাইয়ের জেরে রাজ্যের মোট ৬৯৬টি বুথে ফের ভোট করানোর নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মুর্শিদাবাদ, পূর্ব মেদিনীপুর ও কোচবিহারের কয়েকটি গ্রামে বোমাবাজি ও মারপিটের বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া সোমবার সেই পুনর্নির্বাচন পর্ব মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। ভোট পড়েছে ৬৪.৪২ শতাংশ। নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, পঞ্চায়েত নির্বাচনে সব মিলিয়ে ভোট পড়েছে ৬৯.৮৫ শতাংশ। 

    এদিন নদীয়ার থানার পাড়ার ধোড়াদহ-১ অঞ্চলের শিসা গ্রামের হালদারপাড়া বুথের ভোটের লাইনে প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে এক ভোটারের মৃত্যু হয়েছে। পুনর্নির্বাচনে অবশ্য কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিসের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। কোথাও লাঠিচার্জ, কোথাও বাড়ি বাড়ি তল্লাশি, আবার কলকাতা লাগোয়া রাজারহাটের জ্যাংড়ায় ভুয়ো ভোটারকে ধরে কান ধরে ওঠবোস করাতেও দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। তারই মধ্যে এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার বাকচায় তৃণমূল প্রার্থী ও ভোটারদের বুথে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। রয়েছে ব্যাপক বোমাবাজি করার অভিযোগও। পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার আমলাজোড়া অঞ্চলের তিনটি বুথে ভোট বয়কট করে সিপিএম সহ বিরোধীরা। কল্যাণীর সগুনা অঞ্চলের বসন্তপুরে ভোটার এবং বিরোধী দলের এজেন্টদের বুথে আনতে মাইকিং করতে হয়েছে পুলিসকে।  
  • Link to this news (বর্তমান)