• এভারেস্টের কাছে মিলল নিখোঁজ হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ, মৃত্যু পাঁচ পর্যটক এবং ক্যাপ্টেনের
    আনন্দবাজার | ১১ জুলাই ২০২৩
  • মাউন্ট এভারেস্টের কাছে মিলল ধ্বংসাবশেষ। কাঠমাণ্ডুর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করা হেলিকপ্টারটিতে সওয়ার ছ’জনেরই মৃত্যু হয়েছে। হেলিকপ্টার নিখোঁজ হওয়ার তিন ঘণ্টা পর ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাওয়া যায়।

    পাঁচ জন মেক্সিকোর নাগরিককে নিয়ে সোলুখুম্বু থেকে কাঠমাণ্ডুর উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল চপারটি। তাতে ছিলেন ক্যাপ্টেন-সহ মোট ছ’জন। আকাশে ওড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় চপারটির। নেপালের অসামরিক বিমান পরিবহণ কর্তৃপক্ষের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সোলুখুম্বু জেলার লামজুরার কাছে চপারটির ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাওয়া গিয়েছে।

    নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ম্যানেজার জ্ঞানেন্দ্র ভুল বলেন, ‘‘মানাং এয়ার এনএ-এমভি চপারটি সুরকে বিমানঘাঁটি থেকে সকাল ১০টা ৪ মিনিটে কাঠমাণ্ডুর উদ্দেশে উড়ে যায়। ১০টা ১২ মিনিটে শেষ বার চপারটির সঙ্গে যোগাযোগ করা গিয়েছিল। তার পর থেকে হেলিকপ্টারটির সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি।’’

    মনে করা হচ্ছে, পাহাড়ের চূড়ায় একটি গাছে ধাক্কা মারে হেলিকপ্টারটি। তার জেরেই তা সবশুদ্ধ ভেঙে পড়ে। যে এলাকায় চপারটি ভেঙে পড়েছে তা মাউন্ট এভারেস্টের বেশ কাছে। ভেঙে পড়া হেলিকপ্টারটিকে চিহ্নিত করতে দু’টি হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে উড়েও আবার ফিরে আসতে বাধ্য হয় দু’টি হেলিকপ্টারই।

    এর পরেই খবর পাওয়া যায়, লামজুড়া এলাকার চিহানদান্দায় বিস্ফোরণের বিকট আওয়াজ পান গ্রামবাসীরা। মনে করা হচ্ছে, সেই সময়ই হেলিকপ্টারটি ভেঙে পড়ে। স্থানীয়দের কথা শুনে পুলিশ তল্লাশি অভিযানের দল পাঠায়। তাঁরাই ধ্বংসাবশেষ চিহ্নিত করেন। নিশ্চিত করেন, সোলুখুম্বু থেকে কাঠমাণ্ডুর উদ্দেশে ওড়া হেলিকপ্টারটিই ভেঙে পড়েছে। মৃত্যু হয়েছে ছ’জনেরই।

    ঘটনার পর তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তের পরেই জানা যাবে, ঠিক কী কারণে মাঝ আকাশে হেলিকপ্টারটি ভেঙে পড়ল। বিমান বিশেষজ্ঞদের একটি অংশ মনে করছেন, খারাপ আবহাওয়ার কারণেই সম্ভবত দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।

  • Link to this news (আনন্দবাজার)