WB Panchayat Election 2023 Results: উত্তরে জোর পাচ্ছে ঘাসফুল, বিজেপির মন্ত্রী হারলেন নিজের বুথেই...
২৪ ঘন্টা | ১২ জুলাই ২০২৩
West Bengal Panchayat Election 2023 Results, BJP, TMC, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লার গড়ে বিজেপির পরাজয়। জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট ব্লকের লক্ষীপাড়া চা বাগানে মন্ত্রী জন বার্লার নিজের বুথেই তৃণমূলের কাছে হেরে গেল বিজেপি। সেই সঙ্গেই বানারহাট ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এবার তৃণমূলের দখলে। গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৫ টি আসনের মধ্যে ২১টি তৃণমূলের দখলে, ৩টি বিজেপি ও ১টি জাতীয় কংগ্রেসের দখলে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা চা বলয়ের নেতা জন বার্লা নিজের বুথেই তৃণমূলের সঙ্গে লড়াইয়ে হেরে গেলেন।
ডুয়ার্সের রাজনীতিতে স্বাভাবিকভাবেই জড়িত চা বাগান। শুধুমাত্র বানারহাট নয় জেলার বিস্তীর্ণ চা বলয়ে তৃণমূলের কার্যত জয়জয়কার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা পায়ে হেঁটে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিভিন্ন এলাকায় প্রচারে নেমেছিলেন কিন্তু ব্যালেটে তার প্রতিফলন দেখা গেল না। তাঁর নিজের বুথেই হেরে গেল বিজেপি। এই ফলাফল আগামী লোকসভা নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। একদা ব্যারাকপুরে সিপিআইএমের প্রভাবশালী নেতা তড়িৎ তোপদার হেরেছিলেন তাঁর নিজের বুথেই। যা সত্যিই আভাস ছিল আগামীর। সেরকমভাবেই বার্লার নিজের বুথে হেরে যাওয়া যে ডুয়ার্সের রাজনীতিতে মোড় ঘোরার আগাম বার্তা তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
অন্যদিকে আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম ব্লকের বারোবিশা হাই স্কুলের গণনা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে এলেন বিজেপি প্রার্থী ও এজেন্টরা। তাঁরা গণনায় রিগিঙের অভিযোগ তুলে বেরিয়ে এলেন তাঁরা৷ বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওঁরাও অভিযোগ করেন যে বিজেপির জেতা আসনে কুমারগ্রামের বিডিও এবং আইসি কুমারগ্রাম মিলিত ভাবে ব্যালট পেপারে জল ঢেলে দিচ্ছে, ব্যালট পেপার ছিঁড়ে ফেলছে৷ তাই তারা ভোট গননায় অংশ নিচ্ছেন না৷ ফলে চরম উত্তেজনা বারবিশায়৷ পরিস্থিতি হাতে বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার আগেই লাঠিচার্জ করে পুলিস।চব্বিশে লোকসভা ভোটের আগে এই পঞ্চায়েত ভোট উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের কাছে ছিল অনেক অ্যাসিড টেস্টের মত। আর সেই অ্যাসিড টেস্টে সফল তৃণমূল। পঞ্চায়েত ভোটেই উত্তরবঙ্গের হারানো জমি অনেকাংশে পুনরুদ্ধারের সক্ষম তৃণমূল। উত্তরে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর- সর্বত্রই এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে বিজেপি নেমে এসেছে দ্বিতীয় স্থানে। ওদিকে বাম তৃতীয় স্থানে। প্রসঙ্গত, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের বিধানসভা ভিত্তিক ফলের হিসাবে তৃণমূল এগিয়ে ছিল ২৫টি আসনে এবং বিজেপি ১৯টি কেন্দ্রে। লোকসভা ভোটের সময় থেকেই উত্তরবঙ্গে তৃণমূলে ধস নামে। সেখানে বিজেপির জমি শক্ত হয়। যে ধারা অব্যাহত ছিল একুশের বিধানসভা ভোটেও। কিন্তু এবার পঞ্চায়েতে উত্তরবঙ্গে বিজেপির জয়ের রথ ধাক্কা খেল। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ফলের পিছনে অনেকখানি ভূমিকা রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ জনসংযোগ যাত্রার। উত্তরবঙ্গে কোচবিহার থেকেই তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচি সূচনা করেছিলেন অভিষেক।