• পঞ্চায়েত ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে, রাজ্যপালকে রিপোর্ট পাঠিয়ে জানালেন রাজীব
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৬ জুলাই ২০২৩
  • পঞ্চায়েত ভোটে নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পরেই রাজ্যজুড়ে বিরামহীন হিংসার ঘটনা ঘটেছে। তাতে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। পঞ্চায়েত ভোট চলাকালীন জেলায় জেলায় বুথগুলিতে চলেছে তাণ্ডব। বুথে বুথে ভাঙচুর, বোমাবাজি, গুলি চালনা এবং মারধরের ঘটনা সামনে এসেছে। গণনার দিনেও বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি হয়েছে। সবমিলিয়ে ভোটপর্বে কার্যত মৃত্যু মিছিল দেখা গিয়েছে। তারপরেও ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে জানালেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। ভোট পর্ব নিয়ে রাজ্যপালের কাছে শুক্রবার রিপোর্ট জমা দেন রাজীব সিনহা। সেই রিপোর্ট এই দাবি করা হয়েছে। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ভোটগ্রহণ পর্ব এবং গণনা শান্তিপূর্ণ হয়েছে। শুধুমাত্র কয়েকটি জায়গায় জমায়েত ও বিক্ষোভ ঘটনা ঘটেছে। 

    নির্বাচন পর্বে কমিশনারকে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিভিন্ন জায়গায় হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। তা নিয়ে রাজ্যপালকে রিপোর্টও দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই রিপোর্ট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল। তিনি বলেছিলেন, রিপোর্টে সত্য ঘটনা উল্লেখ করা হচ্ছে না। এর পরে জেলায় জেলায় গিয়ে হিংসায় আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করার পাশাপশি ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন রাজ্যপাল। ফল প্রকাশের ৩ দিন পর শুক্রবার রাজভবনে রিপোর্ট আকারে চিঠি পাঠান কমিশনার। রিপোর্টে কমিশনার জানিয়েছেন, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে স্পর্শকাতর বুথে কেন্দ্র বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছিল। কমিশনার রিপোর্টে সেই বিষয়টি বিস্তারিত জানিয়েছেন। তাছাড়া রাজ্যপালের পরামর্শকে মান্যতা দেওয়া হয়েছিল। সে বিষয়টিও তিনি জানিয়েছেন রিপোর্টে। 

    রিপোর্টে নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন রাজ্যের ৪৮৩৮ টি স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে। সেই সমস্ত বুথে এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী অথবা সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। তাছাড়া সাধারণ মানুষের দাবি মেনে ওইসব এলাকায় আরও দশ ১০ কেন্দ্র বাহিনীকে রেখে দেওয়া হচ্ছে । যদিও বিরোধীদের দাবি, ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পর এভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রেখে দেওয়ার কোনও মানে হয় না। উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের তরফে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে দাবি করা হলেও বিরোধীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোট চলাকালীন বুথগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেখা যায় না। আর তারফলে ভোটে বুথে কারচুপি করা হয়েছে, ভোট লুট করা হয়েছে বলে অভিযোগ। 

    এদিকে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর দায়িত্বে থাকা আইজিপি (বিএসএফ) আদালতে জানিয়েছেন, ভোটের দিন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগে ১১ টি এফআইআর করা হয়েছে। এছাড়া, বিভিন্ন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৮ রাউন্ড গুলি চালাতে হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। অন্যদিকে, ভোটের দিন রাজভবনে অনেক অভিযোগ জমা পড়েছিল। প্রায় ২০০০ অভিযোগ কমিশনের কাছে পাঠানো হয়েছিল। কমিশনের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, সেই সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়েছে। তবে কমিশনের রিপোর্টকে মিথ্যে বলে দাবি করেছেন বিরোধীরা।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)