• শিল্পাঞ্চলের জঙ্গলে নেকড়ে সংরক্ষণের উদ্যোগ রাজ্যের
    বর্তমান | ১৭ জুলাই ২০২৩
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: পশ্চিম বর্ধমানের জঙ্গলে এবার নেকড়ে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হল। ইন্ডিয়ান উলফের দেখা মিলেছে জেলার নানা প্রান্তে। এবার ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার উদ্যোগে নেকড়ে নিয়ে বিশেষ প্রজেক্ট হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দুর্গাপুরের অদূরে ফরিদপুর থানার মাধা‌‌ইগঞ্জের জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় ক্যামেরা ট্র্যাপিং করে তাদের গতিবিধির উপর নজর রাখা শুরু হয়েছে। নেকড়ের সংখ্যা, অবস্থান, গতিবিধি সবকিছু নজর রাখতে গত মে মাস থেকে চারটি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। সেখানে ইতিমধ্যেই ধরা পড়েছে নেকড়ের ছবি। আইআই঩টি খড়্গপুরের এক গবেষক পড়ুয়া এই প্রজেক্টের দায়িত্বে রয়েছেন। বিভিন্ন প্রাণীদের নিয়ে কাজ করা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে তিনি এটা করছেন। তাঁদের প্রজেক্ট রিপোর্ট জমা পড়বে বনদপ্তরে। তারপর সংরক্ষণ নিয়ে অগ্রসর হবে দপ্তর।

    ডিএফও বুদ্ধদেব মণ্ডল বলেন, জেলার নানা প্রান্তে নেকড়ের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। ইতিমধ্যেই একটি সার্ভের কাজ চলছে। সেই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই সংরক্ষণ নিয়ে আরও অগ্রসর হওয়া যাবে।

    বছর দুয়েক আগে করোনাকালে বিদ্যুৎ দপ্তরের এক ইঞ্জিনিয়ার প্রথম নেকড়ের ছবি ক্যামেরাবন্দি করেন। তিনি টাওয়ারে কাজ করার সময় জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় তা দেখতে পান। সোশ্যাল মিডিয়ার সেই ছবি নজরে আসে বনদপ্তরের অধিকারিকদের। তাঁর কাছে তথ্য নিয়ে বনদপ্তরের ম্যাগাজিনে তা প্রকাশও পায়। এরপরই এলাকায় নেকড়ে নিয়ে সজাগ হয় দপ্তর। 

    গবেষক অর্কজ্যোতি মুখোপাধ্যায় বলেন, ইতিমধ্যেই চার-পাঁচটি নেকড়ের ছবি ধরা পড়েছে। সেগুলির গতিবিধি নজরদারি চালিয়ে আমাদের ধারণা, আট থেকে ন’টি নেকড়ে এই দলে রয়েছে। সবচেয়ে আনন্দের হল পূর্ণাঙ্গ পুরুষ ও মহিলা নেকড়ের পাশাপাশি অপ্রাপ্তবয়স্করাও আছে। সংখ্যায় বাড়ছে। শুধু মাধাইগঞ্জ নয়, গড়জঙ্গল ও অণ্ডাল বিমান বন্দর সংলগ্ন বিজড়া এলাকায় নেকড়ের সন্ধান মিলছে। মানুষের সঙ্গে সংঘাত ও চোরা শিকারিদের এড়িয়ে সেগুলিকে সুস্থ রাখাই চ্যালেঞ্জ বনদপ্তরের।
  • Link to this news (বর্তমান)