জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই খুন মালদা জেলার বামনগোলা থানার কয়নাদিঘি গ্রামে BJP কর্মী!। জানা গিয়েছে, এদিন বামনগোলা থানার কয়নাদিঘি গ্রামে BJP কর্মী বুড়ন মুর্মুর মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত মৃতের ছেলে বিপ্লব মুর্মুকে। এদিকে গতকাল গ্রেফতার করা হয় মৃত BJP কর্মীর পুত্রবধূ শর্মিলা মার্ডিকে। সোমবার দুপুরে অভিযুক্তদের বামনগোলা থানার পুলিশ মালদা জেলা আদালতে পেশ করে। মালদা জেলা আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথেই অভিযুক্ত বিপ্লব মূর্মু বলেন, ‘আমরা দুজনেই তৃণমূল করি’। তাঁর বাবাকে হত্যার বিষয়ে পারিবারিক জমি সংক্রান্ত বিবাদ রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। একটা জমি সংক্রান্ত কলহ ছিল সেই কারণেই এই কাণ্ড ঘটেছে’। উল্লেখ্য, পুলিশ সূত্রেও জানা গিয়েছে, পুত্রের সঙ্গে জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল মৃত ওই BJP কর্মীর। তার জেরেই তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
ধৃতদের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা করে খুন, প্রমাণ লোপাটেরও চেষ্টা সহ নানা ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। রবিবার সকাল থেকেই ব্যাপক আলোড়ন পড়ে যায় বামনগোলায়। কারণ বাড়ির মধ্যে থেকেই ওই BJP কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়। যেখানে শরীরে মেলে একাধিক ক্ষতচিহ্ন। BJP-র দাবি, তৃণমূলের মদতেই BJP কর্মীকে খুন করেছে তাঁর ছেলে।
তখন গোটা গ্রামে রটে যায় ছেলের হাতে বাবা খুন হয়েছেন। এদিকে, মৃত BJP কর্মী বুড়ন মুর্মুর হত্যার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে এবং দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে বাবনগোলা থানার নালাগোলা ফাঁড়ির সামনে মালদা জেলার BJP নেতৃত্বরা অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন।
অবস্থান বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন উত্তর মালদা BJP সাংসদ খগেন মুর্মু, হবিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের BJP বিধায়ক জুয়েল মুর্মু, উত্তর মালদা BJP সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত সহ উত্তর মালদা BJP নেতৃত্বরা। এই বিষয়ে সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, ‘পারিবারিক বিবাদের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা।
হত্যাকাণ্ড হওয়ার ১৫ ঘণ্টা পরে শলাপরামর্শ করে মৃত কর্মীদের ছেলেকে আত্মসমর্পণ করানো হয়েছে। কিন্তু তৃণমূলের যে নেতাদের কথাতে এই খুন, তাঁরা বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে। থানার IC তো প্রথমে বলছিলেন এটা খুন নয়। মেরে বাড়িতে তালা বন্ধ করে লাশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে, আর এদিকে পুলিশ বলছে এটা খুন নয়! IC-কে পুলিশের উর্দিটা ছেড়ে তৃণমূলের জামা পড়ে রাস্তায় ঘুরতে বলুন’।