• রাস্তা তো নয়, মরণফাঁদ! সংস্কারের দাবিতে পথ অবরোধ বাঁকুড়ায়
    এই সময় | ২০ জুলাই ২০২৩
  • রাস্তা যেন মরণফাঁদ। আর বর্ষাকাল এলে তো বলারই কিছু নেই। বারংবার এই রাস্তা সংস্কারের জন্য একাধিক প্রশাসনিক স্তরে আবেদন জানালেও মেলেনি কোনও সুরাহা। তাই রাজ্যের মন্ত্রী জোৎস্না মান্ডির বিধানসভা এলাকায় রাস্তা সংস্কারের দাবিতে বাধ্য হয়ে পথ অবরোধে সামিল হয়েছেন বাঁকুড়া জেলার খাতড়া এলাকার বাসিন্দারা। রানীবাঁধ বিধানসভার অন্তর্ভুক্ত খাতড়া - আড়কামা রাস্তার উপর মুড়াগ্রামে এই পথ অবরোধ করেন মুড়াগ্রামের বাসিন্দারা।

    বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘ ১৩ কিলোমিটার রাস্তা বেহাল। রাস্তার বিভিন্ন জায়গার পিচ উঠে গিয়েছে। যাতায়াতে বেগ পেতে হয় বাসিন্দাদের। ইতিমধ্যেই রাস্তার এই বেহাল অবস্থার জন্য অনেক দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও সুরাহা হয়নি।

    রাস্তা সংস্কারের দাবিতে বুধবার সকাল থেকে অবরোধে সামিল হন গ্রামের মহিলারা। বাসিন্দাদের দাবি ছিল, ব্লক প্রশাসনের তরফে রাস্তা সংস্কারের লিখিত প্রতিশ্রুতি না পেলে অবরোধ উঠবে না। চার ঘণ্টা ধরে অবরোধ চলার পর অবরোধ স্থলে উপস্থিত হন খাতড়া থানার IC ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিক।

    রাস্তা তৈরির ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস পেলে অবরোধ ওঠে। রানীবাঁধ বিধানসভার বিধায়ক তথা জেলার একমাত্র মন্ত্রী জোৎস্না মান্ডির বিধানসভা হওয়া সত্বেও এলাকাবাসীর এই ক্ষোভকে নিয়ে চিন্তিত শাসক দল

    । স্থানীয় এক গ্রামবাসী এই বিষয়ে বলেন, 'বহু বছর ধরে এলাকার কাঁচা রাস্তার কোনও কাজ হয়নি। ভোট এলেই রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রতিশ্রুতি দেন ভোট শেষে রাস্তা নির্মাণ করা হবে। কিন্ত সেটা আর হয় না। এবারের পঞ্চায়েত ভোটও পেরিয়ে গেল। তাই বাধ্য হয়ে আমরা সকলে মিলে রাস্তা অবরোধ করলাম।'

    তিনি আরও বলেন, 'এখানে আগে জল নিকাশি ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু বর্তমানে তা দখল হয়ে যায়। সামান্য বৃষ্টি হলেই চারিদিকে জল জমে যায়। এখানকার সব বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সবাইকে জানানো হলেও কাজ হয়নি। ভোটের সময় দুয়ারে দুয়ারে আসছে। কিন্তু ভোট চলে গেলেই কেউ মনে রাখছে না। এই রাস্তার কারণে আমরা ব্যাপক সমস্যায় আছি।'

    খাতড়া ব্লকের জয়েন্ট BDO কমলেশ মহান্তি সমস্যাটির কথা স্বীকার করে বলেন, 'ওনারা যতবার আমাদের জানিয়েছেন আমরাও জানিয়েছি, বিষয়টি ইতিমধ্যে জেলা পরিষদ গ্রহন করেছে। আশা করছি খুবই শিগগিরই কাজ শুরু হবে। আমি গ্রামবাসীদের একটু ধৈর্য ধরার অনুরোধ করেছি।'
  • Link to this news (এই সময়)