• বৃষ্টি হলেই জলমগ্ন তিলোত্তমা! কলকাতার 'জলছবি' পালটাতে বিশেষ পরিকল্পনা পুরসভার
    এই সময় | ২০ জুলাই ২০২৩
  • Kolkata News: আকাশে ঘন কালো মেঘ দেখলেই তিলোত্তমার মনে শুধু কবিতা নয়, কখনও সখনও জেগে ওঠে আশঙ্কাও। বৃষ্টি শুরু হলেও কলকাতার বেশ কিছু অঞ্চলের বাসিন্দারা প্রমাদ গোণেন। তড়িঘড়ি বাড়ির গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে সরাতে শুরু করেন জিনিসপত্র। কারণ, সামান্য বৃষ্টি হলেই কলকাতায় জল জমার সমস্যা দীর্ঘদিনের। বর্তমানে যদিও পুরসভার তৎপরতায় জল জমার সমস্যা অনেকটা মিটলেও শহরের বেশ কিছু অঞ্চলে আজও অল্প বৃষ্টিতেই দাঁড়িয়ে যা জল। যার ফলে যাতায়াত থেকে যান চলাচল সবকিছুতেই অসুবিধার সৃষ্টি হয়।

    এবছর জুলাই মাসের অর্ধেকের বেশি কেটে গেলেও কলকাতা তথা দক্ষিণবঙ্গের কপালে জোটেনি বৃষ্টি। বরং বৃষ্টির ঘাটতিতে ভুগছে শহর। তবুও আগামীতে বৃষ্টির জন্য আগেভাগেই তৈরি কলকাতা পুরসভা। বৃষ্টি হলেই কোথায় কোমর পর্যন্ত জল, কোথাও হাঁটু অবধি জল। এবছর এই ছবি বদলাতে চলেছে বলে আশ্বস্ত করেছেন মেয়র পারিষদ (নিকাশি) তারক সিং। তিনি বলেন, ''কলকাতায় জল জমার সমস্যার সমাধান করতে আগেভাগেই কাজ চলছে। উত্তর কলকাতার আরজিকর হাসপাতালের পাশে পরেশনাথ মন্দিরে জল জমার সমস্যা প্রায় ৭০ বছরের পুরনো। কিন্তু এবছর ওই এলাকায় জল জমার সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁর নির্দেশে পাম্পিং থেকে ওই অঞ্চলে বেশ কিছু কাজ হয়েছে। এবছর বৃষ্টি হলে ওখানে জল জমবে না। এতদিন জল জমলে একতলাটা ডুবে যেত।''

    শুধু পরেশনাথ মন্দির নয়, গোটা শহর জুড়েই চলছে পুরসভার কাজ। মেয়র পারিষদ (নিকাশি) এও বলেন, কলকাতায় জল জমায় বিখ্যাত আর্মহাস্ট স্ট্রিটের ঠনঠনিয়া কালীবাড়ির জল জমার সমস্যারও সমাধান হয়ে যাবে। ওখানে যে পাম্প সিস্টেম কাজ করছে তাতে দু ঘণ্টায় ২০ মিলিমিটার জল বের করে দেওয়া সম্ভব। একইসঙ্গে তিনি জানান, ওখানকার পাম্পিং সিস্টেমে কিছু সমস্যা এখনও রয়েছে। সামনের বছর থেকে সেটুকুও আর থাকবে না বলে জানান তিনি।

    পুরসভা সূত্রে খবর, জল জমার সমস্যা রয়েছে যেসব জায়গায় সেই রাস্তাগুলির ড্রেনেজ সিস্টেম পরিষ্কার করা হচ্ছে। উল্টোডাঙা, খান্না, মানিকতলা, হাতিবাগান সহ ওই এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালা থেকে পলি তোলার কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। উত্তর কলকাতার সহ দক্ষিণ কলকাতারও ম্যানহোল এবং গালিপিটগুলি খুলে সাফ করার কাজ চালাচ্ছেন নিকাশি বিভাগের কর্মীরা। এতে ব্যবহার হচ্ছে পুরসভার কেনা অত্যাধুনিক মেশিন। বাগজোলা, কেষ্টপুর, বেঘর, মানিখালি, টালি নালা খালের মতো বেশ কয়েকটি বড় খালের ড্রেজিং করা নিয়ে ভাবনা রয়েছে পুরসভার।

    উল্লেখ্য, দুর্গাপুজো এলেই বৃষ্টির তোড় বাড়ে কলকাতায়। বৃষ্টি হলেও যাতে কলকাতাবাসীর কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্যে এখন থেকেই প্রস্তুত পুরসভা। অতিভারী বৃষ্টি না হলে জল জমার সমস্যা শহরে হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন মেয়র পারিষদ (নিকাশি) তারক সিং। জল জমলেও তা নেমে যাবে দ্রুত বলে আশ্বাস তাঁর।
  • Link to this news (এই সময়)