• বাংলার হারিয়ে যাওয়া শিল্প এবার লেকটাউনে, পুজোর বাজেট চমকে দেবে!
    এই সময় | ২০ জুলাই ২০২৩
  • বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। বর্ষা শেষ হলেই শরৎ, আর সেই সময়েই ছেলে মেয়েদের নিয়ে মা দুর্গার বাপের বাড়ি আগমন। সেই সঙ্গেই শারোদৎসবে মেতে উঠবে গোটা বাংলা। আনন্দের জোয়ারে গা ভাসাবেন বঙ্গবাসী। ইতিমধ্যেই শহর কলকাতার বিভিন্ন দুর্গাপুজো কমিটিতে শুরু হয়ে গিয়েছে খুঁটিপুজো। সঙ্গে তৈরি হচ্ছে অভিনব চোখ ধাঁধানো সব থিম। কেউ কেউ ইতিমধ্যেই নিজেদের থিম জানিয়ে দিয়েছেন। কেউ আবার একটু গোপনীয়তা বজায় রাখছেন। তবে উদ্দেশ্য সবার একটাই, দর্শনার্থীদের মন জয়।

    শহর কলকাতার এক অন্যতম পুজো কমিটি লেকটাউন অধিবাসীবৃন্দ। এই বছর ৬১তম বর্ষে পদার্পণ তাদের। বিগত বছরগুলিতে ক্রমেই দর্শনার্থীদের মধ্যে বেড়েছে এই কমিটির জনপ্রিয়তা। আর সেই জনপ্রিয়তাকে এবারেও অক্ষুণ্ণ রাখতে ইতিমধ্যেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন কমিটির সদস্যরা। ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে খুঁটিপুজো। এবার ধীরে ধীরে মণ্ডপ গড়ে তোলার পালা।

    এই বাংলা বরাবরই শিল্প সংস্কৃতির পীঠস্থান। বাংলার বুকেই জন্ম নিয়েছে বিবিধ শিল্পকলা। তার মধ্যে কিছু আবার কালের নিয়মে ধীরে ধীরে হারিয়ে গিয়েছে। কিছু বা লুপ্তপ্রায়। তাই এবার বংলার তেমনই এক হারিয়ে যাওয়া শিল্পকে তুলে ধরতে চাইছে লেকটাউন অধিবাসীবৃন্দ। এবার তাদের ভাবনা 'বিসৃত বিস্ময়-প্রশান্তে অক্ষয়'। গোটা ভাবনার নেপথ্যে শিল্পী প্রশান্ত পাল।

    এই প্রসঙ্গে লেকটাউন অধিবাসীবৃন্দ পুজো কমিটির কোষাধ্যক্ষ সোমনাথ দাস জানান, নির্দিষ্ট কোনও এক হারিয়ে যাওয়া শিল্প ও সেই সংক্রান্ত আরও কিছু বিষয় তাঁদেরে মণ্ডপে এবার ফুটে উঠতে চলেছে। তবে সেটি ঠিক কোন শিল্প, সেই বিষয়ে খোদ শিল্পীই তাঁদের কাছে সাসপেন্স বজায় রেখেছেন বলে জানান সোমনাথবাবু। মূলত মুলি বাঁশ ও বিভিন্ন ধরণের নকশা দিয়ে তৈরি হবে মণ্ডপ। আর থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি হবে প্রতিমাও।

    এই বছর লেকটাউন অধিবাসীবৃন্দের পুজোর বাজেটও নেহাত কম নয়। এই বিষয়ে সোমনাথ দাস জানান, প্রায় ২৮ থেকে ৩০ লক্ষ টাকার বাজেট নিয়ে নেমেছেন তাঁরা। লক্ষ্য একটাই, মন জয় করতে হবে দর্শনার্থীদের।

    প্রসঙ্গত, বিগত বছরগুলিতে দেখা যাচ্ছে শহর কলকাতার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলার পুজোতেও করা হচ্ছে তাক লাগিয়ে দেওয়া থিম, আর সেগুলি দেখতে উপচে পড়ছে দর্শনার্থীদের ভিড়ও। এই বছরও তার ব্যক্তিক্রম থাকছে না। সেই জায়গা থেকে এবার লেকটাউন অধিবাসীবৃন্দ পুজোর দিনগুলিতে ঠিক কতটা ভিড় টানতে পারে, সেটাই দেখার।
  • Link to this news (এই সময়)