• গ্রেপ্তারি এড়াতেই দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনে অনলাইনেই হাজিরা পুতিনের
    বর্তমান | ২০ জুলাই ২০২৩
  • জোহানেসবার্গ: রাশিয়ার বাইরে বেরলেই গ্রেপ্তার করতে হবে ভ্লাদিমির পুতিনকে। পরোয়ানা জারি করেছে দ্য হেগের আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (আইসিসি)। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে যুদ্ধাপরাধ ও শিশুদের উপর নির্যাতনের অভিযোগে তদন্তের প্রেক্ষিতে ওই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এই অবস্থায় আগস্ট মাসে ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় পা দিলেই রুশ প্রেসিডেন্টের গ্রেপ্তারির আশঙ্কা চরমে। কারণ, আন্তর্জাতিক আদালতের স্বাক্ষরকারী দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা। পুতিনকে গ্রেপ্তার করতে তারা আইনত বাধ্য। দেশে এলেই তাঁকে গ্রেপ্তারের দাবিতে ইতিমধ্যে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরোধী শিবির। বিষয়টি নিয়ে চাপানউতোর শুরু হওয়ায় বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার দপ্তর থেকে প্রথমে বলা হয়, ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না রুশ প্রেসিডেন্ট। রামাফোসার মুখপাত্র ভিনসেন্ট মাগওয়েন্যা বিবৃতি দিয়ে জানান, দুই দেশের সহমতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে পুতিনের পরিবর্তে সম্মেলনে যোগ দেবেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। যদিও পরে মস্কোর তরফে জানানো হয়, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে অংশ নেবেন পুতিন। অন্যদিকে, আদালতে বিরোধীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট হলফনামা পেশ করে জানিয়েছেন, ‘পুতিনকে গ্রেপ্তারের অর্থ হবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা। মস্কোর তরফে আমাদের সাফ একথা জানানো হয়েছে। সংবিধান মোতাবেক আমরা (রাশিয়ার সঙ্গে) যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি নিতে পারি না।’ 

    ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে পুতিনকে আমন্ত্রণ জানিয়েও আন্তর্জাতিক আদালতের পরোয়ানার কারণে বিপাকে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার। প্রশাসনের উপর চাপ বাড়াতে প্রিটোরিয়ার আদালতে আবেদন জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স। বিপত্তি এড়াতেই মস্কোর সঙ্গে আলোচনার পর মধ্যপন্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রেসিডেন্ট রামাফোসা। যদিও পরে ক্রেমলিনের তরফে পুতিনের ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণের কথা জানানো হয়। পাশাপাশি বৈঠকে সশরীরে হাজির থাকবেন লাভরভ।
  • Link to this news (বর্তমান)