• নন্দীগ্রামে গ্রেফতার ভিলেজ পুলিশ, খুনের চেষ্টা–সহ একাধিক অভিযোগ উঠল
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২০ জুলাই ২০২৩
  • আবার খবরে উঠে এল নন্দীগ্রাম। কারণ এক ভিলেজ পুলিশকে গ্রেফতার করা হয়েছে নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়া থেকে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়া অঞ্চলে হিংসার অভিযোগ উঠেছিল। আর তা রুখতে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল এই ভিলেজ পুলিশের বিরুদ্ধে। অবশেষে বুধবার রাতে গ্রেফতার করা হয় ওই ভিলেজ পুলিশকে। ওই ভিলেজ পুলিশের বিরুদ্ধে মারধর, দলবদ্ধভাবে হামলা, ভয় দেখানো এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। এমনকী পুলিশের তথ্য ফাঁস করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এই সব অভিযোগ থানায় দায়ের হতেই ওই ভিলেজ পুলিশকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়া ভিলেজ পুলিশের নাম সঞ্জয় গুড়িয়া। তার বাড়ি নন্দীগ্রাম–১ ব্লকের ভেকুটিয়া অঞ্চলে। নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। সঞ্জয় গুঁড়িয়ার বিরুদ্ধে মারধর, হামলা, ভয় দেখানো এবং খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তথ্য ফাঁসের অভিযোগও আছে। কলকাতায় ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল তার বিরুদ্ধে। নন্দীগ্রামে অশান্তি, হিংসায় যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে। এই অশান্তি, হিংসা করার পিছনে ছিল বিজেপির ২০ জন কর্মী–সহ সঞ্জয় গুড়িয়া। রাজু ও সঞ্জয় দুই ভাই তাদের সঙ্গে মিলে এই কাজ করেছিল। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ভিলেজ পুলিশের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১, ৩২৩, ৩২৫, ৩২৬, ৩০৭, ৫০৬ এবং ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। যা নিয়ে চলছে তদন্তও।

    আর কী জানা যাচ্ছে?‌ নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ২৫টি আসনের মধ্যে ১৭টি জেতে বিজেপি। বাকি আটটি জেতে তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর থেকেই নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়া এবং বয়াল এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী–সমর্থকদের উপর আক্রমণ শুরু হয়ে যায়। ভিলেজ পুলিশ সঞ্জয় গুড়িয়া এবং ওই বিজেপি কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিতে থাকে। শুধু তাই নয়, তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের মারধর করা শুরু হয়। এমন মারধর করা যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ১৪ জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন।

    আরও পড়ুন:‌ একুশে জুলাই রাস্তায় নামবে বিজেপিও, রাজীব সিনহা সাজিয়ে ব্যক্তিকে ঘোরানো হল শহরে

    তারপর ঠিক কী ঘটল?‌ এই হামলায় আক্রান্তদের গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও দেখতে যান। সেখানে কথা বলে জানতে পারেন এই হামলার নেপথ্যে কারা রয়েছে। তিনি আক্রান্তদের হাতে চেক তুলে দেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই এক আক্রান্ত কর্মী মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রাজু গুড়িয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। জানিয়ে দেন গোটা হামলার নেপথ্যে কারা ছিল। তারপরই রাতে নন্দীগ্রাম থেকে গ্রেফতার হয় সঞ্জয় গুড়িয়া। আজ, বৃহস্পতিবার ওই ভিলেজ পুলিশকে হলদিয়া মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)