• অভিষেকের নাম বলাতে সত্যিই 'নির্যাতন' করা হয় কুন্তলকে? CBI-কে কী বলল পরিবার
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২০ জুলাই ২০২৩
  • কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে 'নির্যাতনের' অভিযোগ তুলেছিলেন কুন্তল ঘোষ। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত এই নেতা এই নিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই মামলার তদন্তে নেমে কুন্তলের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই-এর তদন্তকারীরা। এরপরই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, তথাকথিত নির্যাতনের বিষয়ে নিজের পরিবারের কাউকেই জানাননি কুন্তল ঘোষ। এমনকী কুন্তলের সঙ্গে আরও যারা জেলে বন্দি আছে, তাদেরও এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। তাদেরও কেউ এই বিষয়ে কিছুই জানে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে সিবিআই-এর রিপোর্টে।

    উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতারির বেশ কয়েকদিন পর, ৩০ মার্চ আদালতে যেতে যেতে বিস্ফরণ ঘটিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ। তৃণমূলের বহিষ্কৃত এই যুব নেতা সাংবাদিকদের বুম দেখেই বলে উঠেছিলেন, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলানোর জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে আমাকে।' তাঁর এই মন্তব্যে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। উল্লেখ্য, এর একদিন আগেই, ২৯ মার্চ, শহিদ মিনারের সভা থেকে অভিষেক অভিযোগ করেছিলেন, বিভিন্ন সময়ে মদন মিত্র সহ তৃণমূলের বহু নেতাকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁর নাম বলতে চাপ দিয়েছে। পরদিনই কুণালের এই অভিযোগ। এই অভিযোগ জানিয়ে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এর পর প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারের মাধ্যমে হেস্টিংস থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কুন্তল। এর পর বিষয়টি আদালতের নজরে আনে ইডি।

    কুন্তলের অভিযোগের তদন্ত করতে সিবিআইকে নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও নির্দেশ দেন, প্রয়োজনে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করা যাবে। পরে সেই মামলা গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। মামলার এজলাস বদল হয়। তবে রায় অপরিবর্তিতই থাকে। এদিকে কুন্তল ঘোষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে নামে সিবিআই। অন্যান্য জেলবন্দি এবং কুন্তলের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা।

    এই আবহে গত সপ্তাহেই আদালতে সিবিআই জানায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলতে তাঁকে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে কুন্তল ঘোষ যে অভিযোগ করেছিলেন তা ভিত্তিহীন। গত ১৪ জুলাই বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে সিবিআই বলে, কুন্তলকে কেউ চাপ দিচ্ছেন এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এমনকী জেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেও কোনও সূত্র মেলেনি। আর এবার সেই সংক্রান্ত তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এল। যেখানে তদন্তকারীরা দাবি করলেন, কুন্তলের পরিবারের লোকজনও এই বিষয়ে কিছুই জানেন না।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)