• El Nino Effect : এল নিনোর প্রভাবে 'হাঁপাচ্ছে' আমেরিকা-চিন, বিপদের আশঙ্কায় আবহাওয়াবিদরা?
    এই সময় | ২০ জুলাই ২০২৩
  • মারাত্মক গরমের রীতিমতো হাঁপ ধরেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন -সহ একাধিক দেশের। এল নিনোর প্রভাবে ক্রমেই চড়ছে তাপমাত্রা পারদ। রয়টার্সকে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দ্র্রুত আবহাওয়ার বদল হচ্ছে। অস্বাভাবিক গরম পড়তে শুরু করেছে এল নিনোর প্রভাবে। আগের সব রেকর্ডকে ভেঙে দিয়েছে বেজিং, রোমে তাপমাত্রার বৃদ্ধির হার। আমেরিকার একাংশে জারি হয়েছে তাপপ্রবাহের সতর্কতা।

    এল নিনোর প্রভাবে জলবায়ুর একাধিক পরিবর্তন হচ্ছে। বিশ্বের একাধিক অঞ্চলে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে তাপমাত্রা। এছাড়াও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের জন্ম দিচ্ছে। আমেরিকা, এশিয়া এবং আরও বেশ কিছু অঞ্চলে অতি বৃষ্টি ও বন্যার ঝুঁকি বাড়ছে।

    জুন মাসে ইউএস ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ( NOAA) ঘোষণা করে বর্তমানে এল নিনো পর্যায় চলছে। গত তিন বছর ধরে চলেছিল লা নিনা পর্যায়।

    আবহাওয়া পরিবর্তনের দিক থেকে চলতি বছর বিশেষভাবে উদ্বেগজন বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীর। এল নিনোর প্রভাবে উষ্ণতম বছর ছিল ২০১৬ সাল। তবে আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা ২০১৬-এর সব রেকর্ডকে ভেঙে চুরমার করে দেবে এবছরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার।

    সমুদ্র স্রোতের বৈশিষ্ট্য নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। এল নিনোর প্রভাবে পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের জল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গরম হয়ে যায়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের মতে মে, জুন মাসে সমুদ্রের জলের তাপমাত্রা বেড়েছে রেকর্ড হারে । আর এর জন্য অত্যাধিক গরম পড়বে বলে আশঙ্কা। NOAA এর ক্লাইমেট প্রেডিকশন সেন্টারের আবহাওয়াবিদ মিশেল ল'হিউরেক্স বলেছেন, "আবহাওয়ার দ্রুত গতিতে পরিবর্তন ঘটে চলেছে। আমরা এক কঠিন সময়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছি।"

    এল নিনো প্রভাবে বিশ্ববাজারে নেমে আসতে পারে মন্দা। আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তনের ফলে কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতি হবে। বাড়বে রোগভোগও। যে যে দেশগুলিতে এল নিনোর প্রভাব পড়তে পারে সেই দেশগুলির সরকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোটা অঙ্কের টাকা সঞ্চিত করে রাখার কাজ শুরু হয়েছে। ঘূ

    র্ণিঝড়ের কবলে পড়তে পারে ফিলিপাইনস । পরিস্থিতি সামাল দিতে একটি বিশেষ দল গঠন করেছে সেখানকার সরকার। এল নিনো কী? এল নিনো মূলত একটি উষ্ণ সামুদ্রিক স্রোত। এল নিনো অবস্থায় গ্রীষ্মপ্রধান পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা সাধারণ গড় তাপমাত্রার থেকে ০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যায়।

    আবহাওয়াবিদদের একাংশের মত, তাপমাত্রা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, আবহাওয়ার ঘনঘন মতি বদলানো এল নিনোর প্রভাবেই হয়। বর্ষাকালে বৃষ্টির আকাল আবার কখনও বা অতি বৃষ্টির মতো ঘটনাগুলির সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে এল নিনোর, মত আবহাওয়াবিদদের।
  • Link to this news (এই সময়)