• Britain Refugee Policy : 'এবার তো সবাই ওদের তাড়াবে', শরণার্থীদের নিয়ে ইউএন
    এই সময় | ২০ জুলাই ২০২৩
  • এই সময়: শরণার্থী স্রোত সামাল দিতে ব্রিটেনের বড় পদক্ষেপে সিঁদুরে মেঘ দেখছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। ব্রিটেনের দেখাদেখি তা হলে তো আর কোনও দেশই শরণার্থীদের নিতে চাইবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন সংগঠনের মানবাধিকার বিষয়ক আধিকারিকরা।বিস্তর তর্ক-বিতর্কের পর গত সোমবার ব্রিটেনের পার্লামেন্টে পাশ হয়ে গিয়েছে তাদের নয়া শরণার্থী বিল। এবার রাজা সিলমোহর দিলেই তা পরিণত হবে আইনে। নতুন বিলে সাফ বলা হয়েছে, নৌকায় করে ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে ব্রিটেনের উপকূলে পৌঁছে গেলেই সবাই আর শরণার্থীর মর্যাদা পাবেন না।

    তার মানে কি সটান গলাধাক্কা? কার্যত তা-ই। সূত্রের খবর, ব্রিটেন চাইছে এই শরণার্থীদের আফ্রিকার অন্যতম দরিদ্র দেশ রোয়ান্ডায় পাঠিয়ে দিতে। কিন্তু আইন হয়ে গেলেই কি এ ভাবে শরণার্থীদের তাড়ানো সম্ভব হবে? না-তাড়ালেও ব্রিটেন নয়া আইন-বলে শরণার্থী সরকারি সুযোগ-সুবিধা কিছুই দেবে না বলে মনে করা হচ্ছে। নিয়ম বলছে, আইন হয়ে গেলে প্রথমে ইউরোপীয় আদালতে তা পেশ করতে হবে ব্রিটেনের সরকারকে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের অফিস সাফ জানিয়ে দিয়েছে- অগস্টেই তারা সেই কাজটি সেরে ফেলবে।

    ব্রিটেন সরকারের দাবি, তাদের দিকে ধেয়ে আসা বিপুল শরণার্থী স্রোত সামাল দিতে এ ছাড়া তাদের আর কোনও বিকল্প নেই। ২০১৮ থেকেই ব্রিটেনমুখী শরণার্থীদের সংখ্যা দ্রুত বেড়ে চলেছে। লন্ডনের দাবি, গত বছর ৪৫ হাজারেরও বেশি শরণার্থী ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে ব্রিটেনের উপকূলে এসে পৌঁছেছিলেন।

    প্রসঙ্গত, শরণার্থীদের নিয়ে এই 'রোয়ান্ডা প্ল্যান'-এর ঘোষণা কিন্তু প্রথম করেছিলেন সুনকের পূর্বসূরি বরিস জনসন। আইন তৈরির পথে অনেকটা এগিয়েও গিয়েছিল ব্রিটেন। কিন্তু গত মাসে তাদের সেই পরিকল্পনা বাতিল করে দেয় মানবাধিকার বিষয়ক ইউরোপীয় আদালত। এখন দেখার, এবার কী হয়?
  • Link to this news (এই সময়)