• Seema Haider : পাক সেনার উর্দিতে ছবি! উদ্ধার একাধিক সিমকার্ড, সীমাকে নিয়ে বিপাকে উত্তরপ্রদেশ এটিএস
    এই সময় | ২০ জুলাই ২০২৩
  • নিছক প্রেম কাহানি মনে করা হলেও, পাক গৃহবধূ সীমা হায়দারকে নিয়ে রহস্য ক্রমশই ঘণীভূত হচ্ছে। গুপ্তচর বৃত্তির সন্দেহ থেকে কিছুতেই বাদ দেওয়া যাচ্ছে না তাকে। সন্দেহ আরও ঘণীভূত হয়েছে পাকিস্তান থেকে নেপালে আসার আগে সীমার দুবাই যাওয়ার ঘটনা। তাকে জেরা করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এটিএস। পরিস্থির দিকে কড়া নজর রাখছে স্বরাষ্ট্র এবং বিদেশমন্ত্রকও। পাকিস্তানি গৃহবধূ সীমার সঙ্গে গ্রেটার নয়ডা নিবাসী শচীনের আলাপ অনলাইনে পাবজি গেম খেলার সুবাদে। পরিচয় থেকে ঘনিষ্ঠতা এবং পরে প্রেমিকের টানে চার সন্তানকে নিয়ে সীমার ভারতে বেআইনি প্রবেশ।

    বেআইনি প্রবেশের জন্য সীমার পাশাপাশি শচীনকে গ্রেফতার করা হলেও, তারা এখন মুক্ত। ভারতে বেআইনি প্রবেশ নিয়ে ইতিমধ্যে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এটিএস। জানা গিয়েছে, পাক গৃহবধূর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কয়েকটি সিমকার্ড। শচীনের আগে অনেক ছেলের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। সীমার পরিবারের বেশ কয়েকজন পাক সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন বলে জেনেছে এটিএস। পাকিস্তানে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে সে। ভদ্রভাবে কথা বলে। হিন্দির পাশাপাশি ইংরেজি উচ্চারণও স্পষ্ট।

    পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে কীভাবে সুন্দর ইংরেজি উচ্চারণ, তা নিয়েও গোয়েন্দাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে সন্দেহ। এছাড়া, যেভাবে শাড়ি পরেছে, তাতে মনে হবে সে ভারতীয়। অন্য দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা সীমার আছে বলে সন্দেহ এটিএসের। সূত্রের খবর, শুধু উত্তরপ্রদেশের এটিএসই নয়, আসল রহস্য উদঘাটনে তৎপরতা শুরু করেছে স্বরাষ্ট্র ও বিদেশমন্ত্রকও। বিভিন্ন এজেন্সি মারফৎ পাকিস্তান থেকে সীমার সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে ভারত সরকার।

    গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও নিজের মতো করে তথ্য সংগ্রহে আপ্রাণ চেষ্টা করছে বলে খবর। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সাথে পাক গৃহবধূর কোনও যোগ আছে কী না তা মূলত খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গোয়েন্দাদের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে, কীভাবে সে পাকিস্তান থেকে দুবাই গেলো এবং সেখান থেকে এসেছে নেপালে। প্রতিবেশী নেপালে দীর্ঘদিন ধরে আইএসআইয়ের একটি নেটওয়ার্ক রয়েছে। নেপালে এসে সেখানে সীমা কারও সাথে যোগাযোগ করেছিল কী না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    সীমার কাছ থেকে অনেক প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইছে উত্তরপ্রদেশের এটিএস। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার পাক গৃহবধূকে দেওয়া হয়েছে একটি প্রশ্নমালাও। সীমার সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের তথ্য শচীন ছাড়া আর কেউ জানে কী না, পাকিস্তানে বাড়ি বিক্রির গল্প কী এবং দুবাই থেকে সে কী করে নেপালে এলো, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। সীমা হায়দার পর্ব যে হাই-ক্লাইম্যাক্সে পৌঁছেছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
  • Link to this news (এই সময়)