• লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে! মণিপুরের ঘটনায় বিজেপিকে আক্রমণ তৃণমূলের, সরব কংগ্রেসও
    এই সময় | ২০ জুলাই ২০২৩
  • Manipur Violence TMC Reaction : মণিপুরে ২ মহিলাকে বিবস্ত্র করে ঘোরানো, শ্লীলতাহানির ঘটনায় ধিক্কার গোটা দেশ জুড়ে। রাজ্যের সব কয়টি বিরোধী দল একযোগে আক্রমণের সুর চড়িয়েছেন বিজেপির বিরুদ্ধে। বিজেপি শাসিত মণিপুরে গোটা দেশের মাথা হেঁট করে দেওয়ার ঘটনা নিয়ে নিন্দায় তৃণমূল, কংগ্রেস সকলেই।

    মণিপুরে ঘটনা সামনে আসার পরেই টুইট করে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানায় তৃণমূল কংগ্রেস । তৃণমূল কংগ্রেস জানায়, রক্তাক্ত মণিপুর থেকে যে দৃশ্যগুলি আবির্ভূত হয়েছে, যেখানে কুকি-জো সম্প্রদায়ের দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানো হয় এবং পুরুষদের একটি বড় দল দ্বারা যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা প্রকাশ করা হয়।

    তৃণমূল প্রশ্ন তোলে, মণিপুরে ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং দল ও কমিশন পাঠাতে কেন্দ্রকে কী বাধা দিচ্ছে ? বিষয়টি নিয়ে এখনও কেন নীরব ডব্লিউসিডি মন্ত্রী? তাঁদের কথায়, 'আমরা যদি মণিপুরের মহিলাদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে না পারি তবে বিজেপির নারী শক্তির সমস্ত দাবি ফাঁপা হয়ে যাবে।' এমনকি বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নীরব থাকায় কটাক্ষ করে তৃণমূল। লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে বলে বক্তব্য তৃণমূলের।

    প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মিত্র টুইট করেন, 'আপনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী। মণিপুর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কুকি মহিলারা ভারতের কন্যা, মা ও বোন। ভারত প্রেমের জন্য - আপনার নীরবতা শেষ করুন। একবারের জন্য সঠিক কাজটি করুন।'

    যদিও পরে বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁর মত প্রকাশ করেছেন। দোষীদের কোনওভাবেই ছাড়া হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেসও। 'We Stand with Manipur' tuity করে প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়।

    প্রসঙ্গত, মণিপুরের থৌবল জেলায় নংপোক সেকমাই থানার অদূরের ওই দুই মহিলার উপর হামলা করা হয় বলে খবর। আরেকটি সূত্র বলছে, কঙ্গকপি জেলা থেকে ভিডিয়োটি ( সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল) ছড়িয়েছে। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ এই ঘটনার পুলিশি তদন্তের নির্দেশ দেন। ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্টও।

    Narendra Modi on Manipur Incident : দেশের লজ্জা! মণিপুরের ঘটনায় রাগে ফুটছেন নমো উল্লেখ্য, গত মে মাসে মণিপুরের জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর একটি কর্মসূচি থেকে অশান্তি ছড়ায়। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিজেপি শাসিত রাজ্যে মণিপুর অগ্নিগর্ভ হয়। হাইকোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশের পরে কুকি, জ়ো-সহ বিভিন্ন জনজাতি গোষ্ঠীর সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। দুটি জাতির মধ্যে প্রবল অশান্তি শুরু হয়। এখনও পর্যন্ত মণিপুরে এই ঘটনায় দুশো জনের মৃত্যু হয়ছে বলে খবর।
  • Link to this news (এই সময়)