• 'জামিন চাইছেন না কেন?', নন্দীগ্রামের জয়ী BJP প্রার্থীদের নিয়ে প্রশ্ন হাইকোর্টের
    এই সময় | ২০ জুলাই ২০২৩
  • দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেসসহ সব বিরোধী দলের নেতারাই এই নিয়ে সুর চড়িয়েছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর এবার 'মিথ্যে মামলা'-য় ফেঁসে যাওয়ার আতঙ্ক জয়ী বিজেপি প্রার্থীদের। নন্দীগ্রামের জয়ী বিজেপি প্রার্থীরা নতুন মামলায় জড়িয়ে যাওয়ার ভয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। বিজেপি প্রার্থীদের তরফে চাওয়া হয়েছে রক্ষাকবচও।

    বৃহস্পতিবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। এদিন আদালতে শুনানি চলাকালীন বিচারপতি সেনগুপ্ত এই নিয়ে জয়ী বিজেপি প্রার্থীদের আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, 'কেন আগাম জামিন চাইছেন না? আমি সময়সীমা উল্লেখ করে শর্তবিহীন কোনও রক্ষাকবচ দেব না। ওটা সম্ভব নয়। পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষে হয়েছে গিয়েছে। ভোটের কারণ দেখিয়ে এই ধরনের রক্ষাকবচ দেওয়া সম্ভব নয়।'

    আদালতের অনুমতি ছাড়া বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও FIR দায়ের করতে পারবে না বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। বুধবার হাইকোর্টে বিচারপতি ইন্দপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে সেই মামলার প্রসঙ্গ। নাম না করে পূর্ববর্তী নির্দেশ নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। সেই আবহে আজকে আদালতের এই পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে আইনজীবী মহল। উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী ও তাঁদের এজেন্টদের ১৬ জুলাই অবধি রক্ষাকবচ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

    বৃহস্পতিবারের শুনানির শেষে এই মামলায় আদালতের নির্দেশ, মামলাগুলোর কেস ডাইরি আদালতে হাজির করতে হবে। হলফনামা দিয়ে রাজ্যকে তার বক্তব্য জানাতে হবে। ১৬ আগস্ট পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ।

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ভোটের হিংসায় প্ররোচনার দেওয়ার অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন সুমন সিং নামের এক আইনজীবী। রাজ্যের ডিজিকে এফআইআর দায়ের নির্দেশের আবেদন জানানো হয়। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন পূর্ববর্তী নির্দেশের প্রসঙ্গ টেনে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করে বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের বেঞ্চ।

    অন্যদিকে শুভেন্দুর নামে এফআইআর দায়েরের মামলার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের আবেদন জমা পড়েছে হাইকোর্টে। মামলাকারীর দাবি, মমতা ও অভিষেকের বক্তব্যের জন্য রাজ্যে ৩৫৫ ধারা দায়ের করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে আজ এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। আদালত কী নির্দেশ দেয় সেটাই এখন দেখার।

    বিচারপতির প্রশ্ন, 'কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১০ বছর পর কোনও অপরাধ সংগঠিত করার অভিযোগ উঠলে তখনও কি তাঁর বিররুদ্ধে FIR দায়ের করতে পারবে না পুলিশ? কোনও নির্দেশ যদি অন্তঃসারশূন্য হয়, তাহলে সেই রায় কি বাতিল করা যায় না?'
  • Link to this news (এই সময়)