ধানের সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি, এক জন কৃষক মরসুমে কত ধান বিক্রি করতে পারবেন, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এক জন কৃষক মরসুমে সর্বোচ্চ ৯০ কুইন্টাল ধান বিক্রি করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। চলতি খরিফ মরশুমে আরও অন্তত ৭-৮ লক্ষ টন ধান কিনবে সরকার। সম্প্রতি ধান কেনা নিয়ে খাদ্য ভবনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ এবং পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার-সহ দুই দফতরের শীর্ষ আধিকারিকেরাও হাজির ছিলেন। সেই বৈঠকেই ধানের দাম বৃদ্ধি-সহ তা কেনার বিষয়ে নতুন নির্দেশিকা জারির সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
সেই বৈঠকেই ঠিক হয়েছিল ধান কেনার প্রক্রিয়ায় নিয়মে কিছু ছাড়ের উল্লেখ থাকবে। বেশি পরিমাণ ধান দ্রুত কেনার জন্য চাষিদের আধারের বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের ব্যবস্থা আপাতত করা হবে না। সরকারি উদ্যোগে প্রায় ৫০ লক্ষ টন ধান ইতিমধ্যেই কিনে নিয়েছে খাদ্য দফতর। রেশন সরবারহ, মিড ডে মিল এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জন্য পর্যাপ্ত চাল সরকারের কাছে আছে। কিন্তু খাদ্য দফতরের নিজস্ব রেশন প্রকল্পের গ্রাহকদের জন্য আগামী দিনে আরও চাল প্রয়োজন। তাই দ্রুত ধান কেনার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের আগে খাদ্যসচিব পারভেজ আমেদ সিদ্দিকি ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলাশাসক এবং জেলার খাদ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানেই খাদ্য দফতরের মনোভাব জেলা আধিকারিকদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই মতোই ধানের সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি, বেশ কিছু সিদ্ধান্ত কার্যকর করল খাদ্য দফতর।