• স্কুলের অন্দরে দেদার ব্যবহৃত কন্ডোমের হদিশ, বিদ্যালয় খুলতেই এমন দৃশ্য
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২০ জুলাই ২০২৩
  • পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর পশ্চিমবঙ্গের জেলা স্কুলগুলির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে রিপোর্ট এসেছে নবান্নে। তার জন্য বড় খরচের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। কিন্তু এবার তার মধ্যে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। আর তা দেখে শিক্ষক–শিক্ষিকাদের মাথায় হাত পড়েছে। কারণ স্কুলের বারান্দা থেকে বাথরুম পর্যন্ত কন্ডোম ছড়িয়ে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। এই দৃশ্য দেখা গিয়েছে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায়। নির্বাচনের সময় যারা এই স্কুলে ছিল তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাহলে কি রাতের অন্ধকারে যৌনতা ছড়িয়েছিল স্কুল প্রাঙ্গণে?‌ তা না হলে ব্যবহৃত কন্ডোম পড়ে থাকবে কেন?‌ উঠেছে প্রশ্ন।

    এদিকে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ব্লকের নারায়ণপুর এফপি স্কুলে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। অনেক স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে থাকতে দেওয়া হয়েছিল। আবার ভোটকর্মীরাও ছিলেন স্কুলে। সেখানে কন্ডোম মেলায় নানা গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। পঞ্চাযেত নির্বাচনের জেরে গত কয়েকদিন বন্ধ ছিল স্কুল। বুধবার থেকে এই স্কুল খুলেছে। তারপরই এই দৃশ্য দেখে বাকরুদ্ধ সকলে। তাহলে কি স্কুল ফাঁকা পেয়ে অন্য কেউ ঢুকে পড়েছিল?‌ এমন প্রশ্নও করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেক্ষেত্রে প্রশাসনের নজরদারি নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলছেন।

    ঠিক কী মনে করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ?‌ এই ঘটনার পর স্কুল কর্তৃপক্ষ মনে করছেন, রাতের অন্ধকারে স্কুলের পাঁচিল টপকে কেউ বা কারা এসে এসব করেছে। এই ঘটনার কথা জানতে পেরে অভিভাবকরা পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। এটা মদ্যপদের কাজ বলেও অনেকে মনে করছেন। কিন্তু এত পরিমাণ ব্যবহৃত কন্ডোম একদিনে আসা সম্ভব নয়। তাছাড়া নানা জায়গায় ছড়িয়ে থাকায় অন্য আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। কারা এসেছিল এখানে?‌ স্কুলের অন্দরে কি বসেছিল যৌনতা?‌ এই ঘটনার পর স্থানীয় স্কুলের পক্ষ থেকে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন:‌ বিধানসভার বাদল অধিবেশন নিয়ে রাজ্য–রাজ্যপাল সংঘাত চরমে, কোন পথে নবান্ন?

    ঠিক কী বলছেন স্কুলের শিক্ষক?‌ এই ঘটনা নিয়ে চাউর হতেই স্কুলের শিক্ষকদের নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। তাই স্কুলের শিক্ষক মহম্মদ ফইরুদ্দিন সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘এমন ঘটনা ঘটতে পারে তা স্বপ্নের অতীত। কী করব বুঝে উঠতে পারছি না। কারণ বাথরুমেও একই অবস্থা।’ স্কুলের গেটে তালা থাকার পর এমন ঘটনা নতুন করে ভীতির জন্ম দিয়েছে। স্কুলের অন্দরে দেদার কন্ডোম পড়ে থাকায় ভুল বার্তা যাচ্ছে। এটি নিয়ে অনেকে রসিকতা করতে শুরু করেছেন। গোটা ঘটনা প্রধান শিক্ষককে জানানো হয়েছে। তালাবন্ধ বাথরুমের ভিতরে কারা কন্ডোম সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। সদ্য নির্বাচিত গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য রাম রতন রাম বলেন, ‘খুবই খারাপ ঘটনা। স্কুলের সঙ্গে কথা বলে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)