• ‘ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিন্দা করতে হবে!’ মণিপুরে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব মমতা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২০ জুলাই ২০২৩
  • মণিপুরে নগ্ন করে দুই মহিলাকে রাস্তায় হাঁটানোর ভিডিয়ো কার্যত শোরগোল ফেলে দিয়েছে গোটা দেশে। নিন্দার ঝড় উঠছে দেশ জুড়ে। সংসদে বাদল অধিবেশনের শুরুতেই এই ভিডিয়ো নিয়ে তোলপাড় হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, দোষীরা কোনও ভাবে ছাড় পাবে না। মণিপুরের এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায়, একজোট হয়ে ‘দুর্বৃত্তদের’এই ঘৃণ্য কাজের নিন্দার করার ডাক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

    বৃহস্পতিবার একটি টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ‘ মণিপুরের ভয়ঙ্কর ভিডিওটি দেখে হৃদয় ভেঙ্গে যায় এবং ক্ষুব্ধ হয়। যে ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে উন্মত্ত জনতার দ্বারা দুই মহিলার সঙ্গে নির্মম আচরণ।’

    (পড়তে পারেন। কাল ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা, শহীদ দিবসের সভায় জল জমা রুখতে মরিয়া কলকাতা পুরসভা)

    তিনি আরও লিখেছেন, ‘প্রান্তিক নারীদের উপর যে হিংস্রতা চালানো হয়েছে তা প্রত্যক্ষ করার বেদনা ও যন্ত্রণা কোনও শব্দে প্রকাশ করা যায় না। বর্বরতার এই কাজ বোধগম্য ও মানবতার বাইরে। দুর্বৃত্তদের এ ধরনের অমানবিক কর্মকাণ্ডের এক জোট হয়ে নিন্দা করতে হবে ও ভুক্তভোগীদের ন্যায় বিচার এনে দিতে হবে।’

    প্রসঙ্গত, বুধবার মণিপুর যায় তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল। তাঁরা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলে। এই ফ্যাক্ট ফাইডিং দলের অন্যতম সদস্য সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বৃহস্পতিবার কলকাতা ফিরে বিমানবন্দরে বলেন, ‘ভয়াবহ পরিস্থিতি ওখানে যে অত্যাচার হয়েছে যে নৃশংসতা যে ভয়াবহতা এটা ভাবা যায় না যে কোন সভ্য সমাজে। এটা হতে দিয়েছে, ওখানকার শুধু রাজ্য সরকার নয় কেন্দ্রের সরকার সমান ভাবে দায়ী। আমরা যা দেখে এসেছি, ওখানে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি, রাজ্যপাল নিজে বলছেন ৬০ হাজার আধা সামরিক মোতায়েন করেছেন কিন্তু ওখানে মানুষকে পরিষেবা বা মানুষকে সুরক্ষিত রাখার  সঠিক বন্দোবস্ত করা হয়নি।’

    মণিপুরে ত্রাণ পাঠানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা জেনেছি কী কী তাদের প্রয়োজন। প্রায় জন্তু-জানোয়ারের মতো একেক জনকে একেকটা ঘরে ঠেসে রাখা হয়েছে। কোনও আলো নেই, পাখা নেই। পাঁচ হাজার বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে ৫৭ হাজার মানুষ ক্যাম্পে রয়েছে আবার ৬০ হাজার আধা সামরিক বাহিনী নেমেছে কিন্তু কাজটা মানুষের স্বার্থে যেটা হওয়া উচিত ছিল সেটা ঠিকভাবে হচ্ছে না।’

    সাংসদ জানান,  হেলিকপ্টারে করে তাঁরা বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়েছেন। দুর্গম এলাকায় বসবাসকারী জনজাতীর সঙ্গে কথা বলেছেন। পাহাড়-সমত উভয় এলাকার লোকই জানিয়েছেন তাঁরা অত্যাচারিত। তাঁর অভিযোগ, মুণিপুরে হিংসা থামাতে কেন্দ্রীয় সরকার সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)