• বোর্ড গঠনে ‘ভয়’, নন্দীগ্রামে জয়ী BJP প্রার্থীদের সাময়িক স্বস্তি হাইকোর্টে
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২০ জুলাই ২০২৩
  • পুরনো মামলায় গ্রেফতার করা হতে পারে তাঁদের। আতঙ্কে বোর্ড গঠন করতে পারছিলেন না বলে অভিযোগ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নন্দীগ্রামে বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নির্দেশ দিয়েছেন ১৬ আগস্ট পর্যন্ত তাঁদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারবে না পুলিশ। 

    তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করেই অভিযোগ জানা বিজেপি জয়ী প্রার্থী। তাঁদের অভিযোগ, নন্দীগ্রামের জনসভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দেন, বিজেপি প্রার্থীদের জন্যই এলালায় অশান্তি হচ্ছে তারপর থেকে সক্রিয় হয় পুলিশ।  জয়ী প্রার্থীদের হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় গেরুয়া শিবিরের সাত প্রার্থী। তাঁদের অভিযোগ, অভিযোগ ফল ঘোষণার এক সপ্তাহের বেশি সময় কেটে গেলেও তাঁরা গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কায় বোর্ড গঠন করতে পারছেন না। 

    (পড়তে পারেন। টেটের পাশ নম্বর নিয়ে ভিন্নমত ২ বিচারপতির, সিদ্ধান্ত নেবে হাইকোর্টের তৃতীয় বেঞ্চ)

    শুনানিতে বিজেপি প্রার্থীদের আইনজীবীকে বিচারপতি সেনগুপ্ত বলেন, ‘আগাম জামিন চাইছেন না কেন। আমি কোনও সময়সীমা বেঁধে দিয়ে শর্তবিহীন কোন রক্ষাকবচ দেব না। পঞ্চায়েত ভোট তো অনেক দিন মিটে গিয়েছে। ভোটের কারণ দেখিয়ে রক্ষাকবচ দেওয়া সম্ভব নয়।’ প্রসঙ্গত এর আগে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থীও এজেন্টদের ১৬ জুলাই পর্যন্ত রক্ষাকবচ দেন।

    এই মামলায় বিচারপতি বিজেপি প্রার্থীদের রক্ষাকব না দিলেও, তিনি নির্দেশ দিয়েছেন আগামী ১৬ জুলাই পর্যন্ত তাঁদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষপ করতে পারবে না পুলিশ। জয়ী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে যে মামলা রয়েছে তার কেস ডাইরি আদালতে হাজির করতে হবে। হলফনামা দিয়ে রাজ্যকে তার বক্তব্য আদালতকে জানাতে হবে।  

    এই রায়ের পর কিছুটা স্বস্তিতে বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা। তাঁরা এবার বোর্ড গঠনের কাজ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন। 

    অন্য দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করার আবেদন জমা পড়েছে বৃহস্পতিবার। সেই আবেদনটি মঞ্জুরও হয়। 

    আবেদনে বলা হয়েছে, মমতা এবং অভিষেকে বক্তব্যের জন্যই রাজ্যে ৩৫৫ ধারা জারির পরিস্থিতি হয়েছে। বৃহস্পতিবারই এই মামলা শুনানি রয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)