পড়াশোনা বা চাকরি নয়, সন্তান প্রসবই মেয়েদের প্রথম কাজ! আজব মত রুশ মন্ত্রীর
হিন্দুস্তান টাইমস | ২০ জুলাই ২০২৩
পড়াশোনা থেকে চাকরি বাকরি সব পরে, আগে বাচ্চা জন্ম দেওয়াটাই মেয়েদের একমাত্র কাজ। রুশ পার্লামেন্টে এমনটাই জানালেন সেই দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি পার্লামেন্টের একটি অধিবেশনে জন্মহার নিয়ে কথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। রুশ মেয়েদের উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, পড়াশোনা, চাকরি বাকরি ও টাকাপয়সার থেকেও বেশি জরুরি সঠিক সময়ে সন্তানের জন্ম দেওয়া। ইদানীং সেই সন্তান জন্ম দেওয়াকেই সবচেয়ে কম গুরুত্ব দিচ্ছে রাশিয়ান মহিলারা, এমনটাই তাঁর অভিযোগ। প্রসঙ্গত, রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরাশকো একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। তাঁর কথায়, পড়াশোনা চাকরিবাকরির চক্করে পড়ে রাশিয়ার মেয়েরা অনেকটাই দেরি করে ফেলছেন। সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে এত দেরি করা উচিত নয় বলেই মত তাঁর।
(রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, মহিলাদের সন্তান জন্ম দেওয়া নিয়ে তাঁর চিন্তার প্রধান কারণ পুতিন। অনেকের মতে, রাশিয়ার জন্মহার কমে যাওয়ায় পুতিনের চাপেই এমন কথা বলছেন তিনি। তবে সমালোচকদের একাংশের মতে, এর জন্য পুতিন নিজেই দায়ী। কারণ ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর অনেকেই সন্তান ধারণ করতে ভয় পাচ্ছেন। পার্লামেন্ট অধিবেশনে এই দিন কড়া ভাষায় রুশ মহিলাদের আক্রমণ করেন মিখাইল। তাঁর কথায়, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে গিয়ে সন্তানধারণে অনেক দেরি করে ফেলছে মেয়েরা। একটা বিশ্বাস দিন দিন গেড়ে বসছে, তা হল, পড়াশোনা চাকরি বাকরি সব হওয়ার পর সন্তান ধারণ করতে হবে। এই বিশ্বাসের কারণে বন্ধ্যাত্ব, গর্ভপাত ও সহকারী প্রজনন পদ্ধতির মতো ঘটনা বেড়ে চলেছে। তাঁর কথায়, এই কারণে অনেকের তৃতীয় বা চতুর্থ সন্তানধারণের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে।
(প্রসঙ্গত, গর্ভপাতের ওষুধের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি হতে চলেছে রাশিয়ায়। চলতি বছরের শেষ থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই সব ওষুধ বেচাকেনায় কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকবে। এই দিন তিনি বলেন, একটি মেয়ের বোঝা উচিত, যত তাড়াতাড়ি সন্তান জন্ম দেওয়া যায়, যতই ভালো। সন্তান জন্ম দেওয়ার এই দায়িত্বটা স্কুলজীবন থেকেই মেয়েদের শিখিয়ে দেওয়া জরুরি। এমন কথাও উঠে আসে তাঁর মন্তব্যে। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে রাশিয়ায় গর্ভপাতের সংখ্যা ৪ লাখের উপরে। যা ২০২২ সালে ৪ লাখের নিচে নেমে যায়। এর পরেও সরকারের তরফে জন্মহার বাড়াতে আরও চাপ বাড়ানো হচ্ছে।