• ২১-এর সভায় প্রথমবার থাকছেন না কেষ্ট, নেতার অনুপস্থিতিতে 'বড় বিপদ'-এ তৃণমূল নেতা-কর্মীরা
    এই সময় | ২১ জুলাই ২০২৩
  • এই প্রথম একুশে জুলাইয়ের অনুষ্ঠানে নেই কেষ্ট। অন্যবারে এতক্ষণে জেলায় শুরু হয়ে যেত উৎসব। একেবারে পিকনিকের মেজাজে ভলভো থেকে সাধারণ ভাড়া বাসে চেপে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হতেন বীরভূমের তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। কিন্তু এবছর একুশ জুলাই বোলপুরে নেই জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। গোরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত কেষ্টর ঠিকানা তিহার জেল। তাঁর অভাবে বড় সমস্যায় জেলা তৃণমূল। অনুব্রত মণ্ডল নেই, তাই কোটি টাকার যোগানও নেই। ফলে একুশে জুলাই এর সমাবেশে কর্মীদের নিয়ে যেতে সমস্যায় জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব । গত বছরের তুলনায় বাসের সংখ্যা কমেছে ৭০% । স্বাভাবিকভাবে ট্রেনে করেই সমাবেশে যাচ্ছেন কর্মীরা । অনেকে নিজের গ্যাঁটগচ্ছা দিতে অপারগ। তাই জেলায় থেকেই সামিল হবেন শহিদ দিবস উদযাপনে।

    একুশে জুলাইয়ের 'শহিদ স্মরণে' সমাবেশে যোগ দিতে চললেন বীরভূম জেলার তৃণমূল কর্মীরা। তবে অনুব্রত মণ্ডলের অবর্তমানে এই মহাসমাবেশে কর্মীদের নিয়ে যাবার জন্য বেগ পেতে হচ্ছে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বকে । মূলত অনুব্রত মণ্ডল ওরফে তৃণমূল কর্মীদের 'কেষ্টদা' নিজে ব্যবস্থা করতেন সমস্ত কর্মীদের কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার। এমনকি খরচও বহন করতেন তিনি নিজেই। কিন্তু এবার তাদের প্রিয় কেষ্ট দা জেলবন্দী। আর স্বাভাবিকভাবেই এই মহাসমাবেশে যাওয়ার আয়োজন নিয়ে সমস্যায় তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। যেখানে গত বছর প্রায় ৩০০ এর অধিক বাস ভর্তি করে জেলা তৃণমূল কর্মীরা এসেছিলেন কলকাতায়। আর এবছর সেই সংখ্যা এসে নেমে দাঁড়িয়েছে ১০০ তে । মূলত অর্থ যোগানে ঘাটতি হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত তৃণমূলের জেলার কমিটির । স্বাভাবিকভাবেই অনুব্রত মণ্ডলের অবর্তমানে তৃণমূল কর্মীদের কলকাতায় যাওয়ার জন্য ভরসা একমাত্র রেল পথ, অন্তত এমনটাই দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। তবে আয়োজনে সমস্যা হলেও তৃণমূল কর্মীদের উচ্ছ্বাস চোখে পড়ার মতন । প্রায় লক্ষাধিক লোক বীরভূম থেকে কলকাতায় পাড়ি দেবে বলে আশাবাদী কোর কমিটি ।

    Birbhum PanchayatResult : 'দেখ খুলে তোর তিন নয়ন'! বিরোধীরা ছিনিয়ে নিলো 'উন্নয়ন'! এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, " এবছর শহরের উন্মাদনা একটু কম আছে তবে যে সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল জিতেছে সেখানকার কর্মীদের উন্মাদনা চরমে। অনেকেই বিভিন্ন ট্রেনে করে যাচ্ছে। সকালে ময়ূরাক্ষীতেও প্রচুর মানুষ যাবে। তবে কেষ্টদা না থাকার কারণে একটা আর্থিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। যেখানে গত বছর প্রায় তিনশোর বেশি বাস গিয়েছিল সেখানে এবছর সেই বাসের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে একশোর কম । একটি বাসের ভাড়া বাবদ প্রায় ১৬ হাজার টাকা খরচ হয় । আর সেই কারণেই জেলা নেতৃত্ব প্রথম থেকেই এই বিষয়টাকে কিন্তু গুরুত্ব দেয়নি । কারণ, পুরো ব্যবস্থাপনা বাবদ মোট টাকার অংকটা প্রায় কোটি ছাড়িয়ে যাবে । তাই এবছর কর্মীদের জন্য ট্রেনই ভরসা। তবে যেখানে একান্তই রেলের যোগাযোগ নেই, সেই সমস্ত জায়গার জন্য বাস দেওয়া হয়েছে। আর ছোট গাড়িতেও বেশ কিছু মানুষ যাবে । তবে এর কারণে জনসমাগমে কোন প্রভাব পড়বে না । কারণ, এবছর প্রায় লক্ষাধিক মানুষ যাবে এই সমাবেশে যোগ দিতে । যা গতবারের তুলনায় বেশি।"
  • Link to this news (এই সময়)