• টাইগার হিল যেতে হবে না! কালিম্পংয়ের রিকিসুম থেকে দেখুন কাঞ্চন, না হলে বড় মিস…
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৬ জুলাই ২০২৩
  • পাহাড়ে বৃষ্টি একটু বেশিদিন টানে। মানে বৃষ্টি বড্ড ভালোবাসে পাহাড়তে। চলে যেতে মন চায় না। তবে বর্ষায় আরও দুর্গম হয়ে ওঠে পাহাড়ের রাস্তা। কিন্তু অন্যদিকে বর্ষায় পাহাড় আরো সুন্দরী হয়ে ওঠে। তবে বর্ষা একটু কমতেই এবার চলে যেতে পারেন কালিম্পংয়ের রিকিসুম। যেমন মিষ্টি নাম, তেমনই মিষ্টি এই জায়গা। রিকিসুমকে অনেকেই ফুলের দেশ বলে ডাকেন।

    আসলে সত্যিই এই রিকিসুম ফুলে ফুলে ভরা। মার্চ থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে যদি আসেন তবে দেখতে পাবেন রোডোডেনড্রন আর ম্যাগনালিয়া ফুল থোকায় থোকায় ফুটে রয়েছে। অপূর্ব সেই রূপ। আসলে পাহাড়ের রূপ প্রতিটি ঋতুতেই এক এক রকম। রিমঝিম বর্ষাতেও রিকিসুম খারাপ নয়। তবে সেই সময় কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন হবে কিনা সেটা নিশ্চিত ভাবে বলা যায় না। তবে মেঘের খেলা দেখতে পাবেন পাহাড় জুড়ে।

    পেডং থেকে ৮ কিলোমিটার আর কালিম্পং থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে এই রিকিসুম। একেবারে নিরিবিলি পাহাড়ি গ্রাম। একাধিক হোমস্টে গজিয়ে উঠেছে। আগে থেকে বুক করে সেখানে চলে আসতে পারেন।

    পাহাড়ে প্রায় ৬ হাজার ফুট উচ্চতায় এই রিকিসুম। এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার ৩৬০ ডিগ্রি রূপ আপনি দেখতে পাবেন। ভিউ পয়েন্ট থেকেই আপনি সূর্যোদয় দেখতে পারেন। সারা জীবন মনে থাকবে।

    ভুটান পাহাড়ের একাধিক চূড়াও দেখা যায়। ভাগ্য ভালো থাকলে সেই পাহাড়ের শৃঙ্গগুলিও আপনি দেখতে পাবেন।

    রিকিসুন থেকে লাভা রিশপ, কোলাখাম অনেকেই যান। এখান থেকে কিছুটা দূরে তিস্তা নদী। তবে বর্ষার তিস্তায় এড়িয়ে চলাটাই ভালো।

    অবস্থানগত কারণে রিকিসুমের উপরে বাড়তি নজর ছিল ইংরেজ শাসকদের। এখানে তাদের একটা বাংলো ছিল। কথিত আছে ১৯০২ সালে তৈরি হয়েছিল এই বাংলো। তবে পরবর্তী সময় এই বাংলোর একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বর্তমানে সেই বাংলোর ধ্বংসস্তুপ দেখতে পাবেন। অন্যরকম অনুভূতি হবে।

    রিকিসুম থেকে কাছের বিমানবন্দর বলতে বাগডোগরা বিমানবন্দর। আর কাছে স্টেশন বলতে এনজেপি স্টেশন। রিকিসুম থেকে এনজেপির দূরত্ব প্রায় ৯০ কিলোমিটার। সরাসরি গাড়ি ভাড়া করে চলে আসতে পারেন। না হলে কালিম্পং পর্যন্ত এসে সেখান থেকে শেয়ার গাড়িতে আসা যায়। তবে আসার পথে চারপাশে যা দেখবেন তা পথের ক্লান্তি ভুলিয়ে দেবে।

     
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)