• প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলোচ্ছ্বাসে গোবর্ধনপুর পর্যটন কেন্দ্রে ধ্বংসের মুখে ঝাউবন
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৬ জুলাই ২০২৩
  • বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জের পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোবর্ধনপুরকে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তালোর জন্য উদ্যোগ নিয়েছিল রাজ্য সরকার। বেশ কয়েকবছর আগে জলপথে সুন্দরবন ভ্রমণের সময় পাথরপ্রতিমার জি প্লটের এই দ্বীপটি নজরে আসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গোবর্ধনপুরের সৈকতকে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার জন্য নির্দেশ দেন। ওই এলাকার উন্নয়নে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দও করে রাজ্য সরকার। তারপর কেটে গিয়েছে অনেকগুলো বছর। সমুদ্রে জলচ্ছ্বাসে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রায় নিশ্চিহ্ন সমুদ্রে ধারের ঝাউবন। ঘুরতে এসে হতাশ হচ্ছেন পর্যটকরা।

    (পড়তে পারেন। ৪ দিনেই উত্তরবঙ্গের মায়াবী ট্যুর, আছে অফবিট জায়গা- কীভাবে ঘুরবেন? রইল প্ল্যানিং)

    সমুদ্র সৈকতে বাঁধ ভাঙাগড়ার খেলায় গোবর্ধনপুরে বঙ্গোপসাগরের বুকে তৈরি হয় নির্জন এই বেলাভূমিটি। চারপাশে রয়েছে ঝাউ, সুন্দরী, হেতালের জঙ্গল। ছোটখাট ট্যুর বা পিকনিকের জন্য এই সৈকতে আসেন পর্যটকরা। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগে এবং সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাসে বেহাল অবস্থা পর্যটন কেন্দ্রের। নষ্ট হয়েছে হাজার হাজার ঝাউগাছ। প্রশাসনের থেকে তা রক্ষা করারও তেমন কোনও উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। ফলে ঘুরেতে এসে হতাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে পর্যটকদের।

    সৈকতে ঘুরতে আসা এক পর্যটকে স্বর্ণজিৎ দাস বলেন,'সমুদ্রে হওয়া খেতে, ঝাউবনে একটু নিরিবিলিতে কাটাতে এসেছিলাম। কিন্তু এসে দেখালাম ঝাউগাছ নেই বললেই চলে। সব মরে গিয়েছে।' নষ্ট হ্চ্ছে সমুদ্রে পারে দেওয়া ব্যরিকেডও।

    এই বেলাভূমিতে পৌঁছতে জি -প্লট দ্বীপের ঘাট থেকে তৈরি হয়েছে প্রায় ২০ কিমি পাকা রাস্তা। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার সেই রাস্তায় ইতিমধ্যে যানবাহন চলাচল শুরু করেছে। সড়ক পথে পর্যটকদের এক দ্বীপ থেকে আর এক দ্বীপে যাতায়াতের সুবিধার্থে একটি পাকা সেতু তৈরি করা হয়েছে। পর্যটকদের খাওয়া-থাকার জন্য আধুনিক মানের পরিবেশবান্ধব লজ ও কটেজও প্রশাসনের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে। এমন কী পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য ইন্দ্রপুরে একটি কোস্টাল থানা তৈরি করার হয়েছে। এ সব সত্বেও ঝাউ বনের এই ভাবে নষ্ট হয়ে যাওয়া নিয়ে প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই বলেই অভিযোগ পর্যটক থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)