• Cosmic Necklace Image BY NASA : মহাকাশে দেখা যাচ্ছে অদ্ভূত সুন্দর নেকলেস, ছবি প্রকাশ করে রহস্য ফাঁস NASA-র
    এই সময় | ২৭ জুলাই ২০২৩
  • মহাকাশে চকচক করছে একটি অপূর্ব 'নেকলেস', সম্প্রতি একটি ছবি শেয়ার করেছে NASA। মহাকাশের রহস্য নিয়ে অনেকের মনে একাধিক প্রশ্ন রয়েছে। গ্রহ, উপগ্রহের 'ভুলভুলাইয়া'-র মধ্যে এই চিত্র রীতিমতো চমকে দিয়েছে মহাকাশ নিয়ে আগ্রহীদের।

    সম্প্রতি নাসার তরফে মহাকাশের একটি ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে 'নেকলেস'-এর মতো একটি চিত্র দেখা যাচ্ছে। এই ছবিটির ব্যাখ্যাও দিয়েছে NASA। এই মহাজাগতিক ‘নেকলেস’-এ মজেছে নেটিজেনদের মন।

    কী ভাবে তৈরি হল এই 'মহাজাগতিক নেকলেস'? এক ব্যাখ্যা দিয়েছে NASA? এই 'মহাজাগতিক নেকলেস'-টি অবস্থান করছে ১৫ হাজার আলোকবর্ষ দূরে। এর নামকরণ করা হয়েছে PN G054.203.4। এই নেকলেসের মধ্যভাগটি দেখা যাচ্ছে একেবারে সবুজ হিসেবে। এই অংশে রয়েছে গ্যাস। এই মহাজাগতিক নেকলেসের চারপাশ একাধিক ছোট, বড় তারায় ভরা।

    NASA এই ছবিটি পোস্ট করার পরেই রীতিমতো তোলপাড় পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এখনও পর্যন্ত ইনস্টাগ্রামে তা সাত লাখ ৯৯ হাজার ৯২৯টি লাইক পেয়েছে এবং শতাধিক কমেন্ট পড়েছে তাতে। নেটিজেনরা মহাজাগতিক সৌন্দর্যে কার্যত মুগ্ধ হয়েছেন।

    এক নেটিজেন লিখেছেন, "আমি মহাকাশের গভীরতার দিকে যত তাকাচ্ছি ততই মুগ্ধ হচ্ছি। এত গ্যালাক্সি, গ্রহ, তারার মাঝে কি একা থাকা সম্ভব?” অপর এক নেটিজেন লিখেছেন, “অসাধারণ সুন্দর একটি দৃশ্য। প্রতি মুহূর্তে মুগ্ধ হচ্ছি।”

    View this post on Instagram A post shared by NASA (@nasa) জনৈক নেজিজেনের উক্তি, “কী ভাবে এই নেকলেস তৈরি হয়েছে? এটা ভাবতেই অবাক লাগছে যে কোটি টাকা খরচ করলেও এই অপূর্ব সুন্দর জিনিস কেনা কোনও মানুষের সাধ্যের মধ্যে নেই। কিছু সৌন্দর্য্য এভাবেই উপভোগ করতে হয়।”

    কী ভাবে এই নেকলেস তৈরি হয়েছে? তা নিয়ে অসীম জিজ্ঞাসা সাধারণ মানুষের মনে। নাসার তরফে পোস্টটিতে ‘মহাজাগতিক রহস্য’ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত মহাবিশ্বে সবথেকে বড় কসমিক ওয়েব হল 'হারকিউলিস করোনা বোরিয়ালিস ওয়াল।' তবে এই নেকলেসটিও অনেকটাই বড়। মহাকাশ বিশেষজ্ঞদের একাংশের কথায়, "মহাবিশ্বে কোনও গ্যালাক্সিই একা বাঁচতে পারে না। বেশিরভাগ সময় তারা একটি ক্লাস্টার তৈরি করে। এই গ্যালাক্সি জালিকাগুলিতে মহাজাগতিক শূন্যস্থান রয়েছে।

    পাশাপাশি সেখানে থাকে ব্ল্যাকহোলও, যা অন্যতম উজ্জ্বল স্থান হয়। উল্লেখ্য, কসমিক ওয়েব নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা করেছে NASA। কিছুদিন আগেই জেমস ওয়েবের গবেষকরা মহাকাশের কিছু ছবি সামনে এনেছিল।
  • Link to this news (এই সময়)