• প্রকাশ নয়, মুখবন্ধ খামে ওএমআর জমা দিন: সুপ্রিম কোর্ট
    বর্তমান | ২৭ জুলাই ২০২৩
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত  একটি মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ চাকরিপ্রাপকদের ওএমআর শিট, নামধাম, প্রাপ্ত নম্বর প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিল। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ওএমআর শিট আপাতত প্রকাশ করতে হবে না। চাকরিরত শিক্ষকদের জানাতে হবে না স্কুলের নাম এবং বাবার নাম। স্কুল সার্ভিস কমিশনের আপাতত এসব তথ্য প্রকাশ করার দরকার নেই। তবে শীর্ষ আদালতের কাছে ওএমআর শিট জমা দিতে হবে মুখবন্ধ খামে। মামলার বিস্তারিত শুনানির প্রয়োজনেই এগুলি জমা করতে বলা হয়েছে। 

    এই রায়ের পর কিছুটা হলেও স্বস্তিতে একাদশ-দ্বাদশের প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কর্মরত শিক্ষক। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ২০১৮ সালে চাকরি পেয়েছিলেন তাঁরা। এই নিয়োগ প্যানেলের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরও চাকরি হয়েছিল ৩৯ জনের। তাঁদের নামধাম আপাতত প্রকাশ করতে হচ্ছে না কমিশনকে। প্রায় পাঁচ বছর টানা চাকরি করার পর দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় এই শিক্ষকরা দিশাহারা হয়ে পড়েছিলেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁদের ওএমআর শিট সহ নাম, বাবার নাম ইত্যাদি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়ার উদ্বেগ বাড়ছিল তাঁদের। পরে ওই রায় আংশিক বহাল রাখে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বিপ্লব বীবর সহ কয়েকজন  মামলাকারী। তাঁদের হয়ে এদিন সওয়াল করেন আইনজীবী মুকুল রোহতগি এবং পার্থসারথি দেব বর্মন। তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন। বলেন, ‘এতদিন যাঁরা কোনও অভিযোগ ছাড়া চাকরি করছেন, আচমকা কেন তাঁদের ওএমআর শিট প্রকাশ করা হবে? তাঁরা কি অন্যায়ভাবে চাকরি পেয়েছেন? তাহলে কেন তাঁদের বাবার নাম, ঠিকানা প্রকাশ করা হবে?’ বিবাদী পক্ষের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য পাল্টা বলেন, ‘গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জালিয়াতি হয়েছে। তাই এসব তথ্য প্রকাশ করতেই হবে।’ এই কথার প্রতিবাদ করেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী কুণাল চট্টোপাধ্যায়। উভয়পক্ষের সওয়াল-জবাবের পর বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু  জানিয়ে দেন, আপাতত হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে উল্লিখিত দু’টি অংশের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে। আগামী মঙ্গলবার পরবর্তী শুনানি হতে পারে। ততদিন পর্যন্ত কমিশন ওএমআর এবং কোনও নামধাম প্রকাশ করবে না। 
  • Link to this news (বর্তমান)