• Chandrayaan-3 Location : চাঁদ দেখতে আর কতটা পথ বাকি? বর্তমানে কোথায় রয়েছে চন্দ্রযান-৩? জানুন
    এই সময় | ২৭ জুলাই ২০২৩
  • মঙ্গলবার ২৫ জুলাই ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা তথা ইসরো সফলভাবে চন্দ্রযান-৩-কে পৃথিবীর চূড়ান্ত কক্ষপথে সফল ভাবে স্থাপন করেছে। ইসরোর তরফে টুইটে জানানো হয়েছে, চূড়ান্ত কক্ষপথ-উত্থাপন কৌশল (আর্থ-বাউন্ড পেরিজি ফায়ারিং) সফলভাবে

    সম্পন্ন হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে ইসরোর টেলিমেট্রি, ট্র্য়াকিং অ্যান্ড কমান্ড নেটওয়ার্ক (ISTRAC) থেকে সফলভাবে সম্পাদিত হয়েছে এই প্রক্রিয়া। বর্তমানে মহাকাশযানটি পৃথিবীর ১,২৭,৬০৯ কিলোমিটার X ২৩৬ কিলোমিটার কক্ষপথে পৌঁছেছে। বিষয়টা একটু বুঝিয়ে বলা যাক। পৃথিবীর উপবৃত্তাকার কক্ষপথে পাক খেয়ে চলছে এই মহকাশযান। একবার ভূপৃষ্ঠের খুব সামনাসামনি চলে আসছে, একবার আবার ঘুরতে ভূপৃষ্ঠ থেকে দূরে চলে যাচ্ছে। যখন পৃথিবী থেকে সব থেকে কাছে এটি অবস্থান করছে তখন ভূপৃষ্ঠ থেকে এটির দূরত্ব হচ্ছে ২৩৬ কিলোমিটার অপরদিকে আবার পৃথিবী থেকে সর্বাধিক দূরে যখন এটি অবস্থান করছে তখন এর দূরত্ব হয়ে যাচ্ছে ১,২৭,৬০৯ কিলোমিটার।

    উপবৃত্তাকার কক্ষপথে চড়কি পাক খাচ্ছে চন্দ্রযান-৩। অ্য়াপোজি ও পেরিজি বদলে ধীরে ধীরে সেটিকে পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে বের করে দেওয়া হবে এবং নিয়ে যাওয়া হবে চাঁদের দিকে। চাঁদ পৃথিবীকে কেন্দ্র করে উপবৃত্তাকার পথে ঘুরে চলেছে। একবার পাক খেতে চাঁদের সময় লাগে প্রায় সাড়ে ২৭ দিন।

    এই সাড়ে ২৭ দিনে চাঁদ তার কক্ষপথে একবার পৃথিবীর নিকটতম বিন্দু পেরিজিতে থাকে । পেরিজিতে থাকাকালীন পৃথিবী ও চাঁদের দূরত্ব হয় প্রায় ৩ লক্ষ ৫৫ হাজার কিলোমিটার। অপরদিকে চাঁদ যখন পৃথিবী থেকে দূরতম বিন্দু অ্যাপোজিতে থাকে তখন চাঁদ ও পৃথিবীর দূরত্ব হয় প্রায় ৪ লক্ষ ৫ হাজার কিলোমিটার।

    চাঁদের কক্ষপথের দিকে পাঠাতে পরবর্তী ধাপ হল ট্রান্সলুনার ইনজেকশন (TransLunar Injection বা TLI)। এই ধাপেই আলাদা হয়ে যাবে প্রোপালশান মডিউল (PM) ও ল্য়ান্ডার মডিউল (LM)। এরপর মহাকাশযানটিকে চাঁদের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একাধিক প্রক্রিয়া সংগঠিত হবে । ২৩ অগাস্ট বিকেল ৫টা ৪৭ মিনিটে চাঁদের পৃষ্ঠে মহাকাশযানটি অবতরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ১৫ থেকে ২০ জুলাইয়ের মধ্যে পূর্বের চারটি কক্ষপথ উত্থাপন কৌশল সম্পাদিত হয়েছিল।

    চন্দ্রযান-৩-এর অবস্থা চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে অবতরণের কথা রয়েছে চন্দ্রযান-৩-এর। অবতরণের পর চন্দ্রযান-৩-এর রোভারটি চাঁদে জলের অস্তিত্ব রয়েছে কিনা, কী কী খনিজ রয়েছে, চাঁদের পৃষ্ঠের গঠন কীরকম, বায়ুমণ্ডলীয় উপাদান নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে।
  • Link to this news (এই সময়)