• Mallikarjun Kharge : বক্তব্যের মাঝেই বন্ধ মাইক, অমর্যাদার অভিযোগে সরব খাড়গে
    এই সময় | ২৭ জুলাই ২০২৩
  • মণিপুর নিয়ে বুধবার রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখছিলেন বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। এই সময় দেখা দেয় মাইক বিভ্রাট। আর এই বিভ্রাটের জন্য মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আঙুল তুললেন খাড়গে। এতে তাঁর পদের অমর্যাদা হয়েছে বলে দাবি করে সরব হলেন রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ।

    মঙ্গলবারের পর বুধবারও রাজ্যসভার অধিবেশন শুরুর সঙ্গে মণিপুর ইস্যুতে সরগরম হয়। এ নিয়ে সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে স্লোগান এবং পালটা স্লোগান ঘিরে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। সেই সময় সভা পরিচালনা করছিলেন উপরাষ্ট্রপতি স্বয়ং। তখন মণিপুর নিয়ে বক্তব্য রাখার জন্য রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা খাড়গে-র ডাক পড়ে।

    কিন্তু বিরোধী নেতা বক্তব্য রাখার সময় বাধা দিতে থাকেন সরকার পক্ষের সাংসদ পীযুষ গোয়েল। বক্তব্য রাখার সময় বিরোধী নেতার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। মাইক বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনার নিন্দা করে সরব হন মল্লিকার্জুন খাড়গে।

    তিনি বলেন, 'এটা আমার কাছে অপমান। আমার আত্মসম্মানকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে । যদি হাউস সরকারের নির্দেশে পরিচালিত হয়, তখন বুঝতে হবে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই।' মাইক বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে খাড়গের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায় ডিএমকে সাংসদ তিরুচি শিবাকে।

    এ ব্যাপারে চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন যে সভার নেতার পাশাপাশি বিরোধী দলনেতাকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কিন্তু বিরোধী নেতাকে সেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেন। যদিও, খাড়গের দাবি যথারিথি নস্যাৎ করেছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়।

    বিরোধী দলনেতার মাইক বন্ধ করা হয়নি বলে দাবি করেন তিনি। ধনখড়ের মতে, বক্তব্য রাখার সময় কোনও সীমা লঙ্ঘন করলে সে বিষয়ে অনুমতি দেওয়া যায় না। তার মানে মাইক বন্ধ নয়, জানান রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধীদের কথা বলতে দেওয়া একটি নিয়মের মধ্যে পড়ে।

    যদিও এর আগে বারবার সংসদে কথা বলতে গেলে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা । বক্তব্য রাখার সময় মাইক বন্ধ করে দেওয়ার যে অভিযোগ রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা করেছেন, তাতে কণ্ঠরোধের জল্পনা উস্কে দিল বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, মণিপুর ইস্যুতে স্লোগান এবং পালটা স্লোগানকে বুধবারও সংসদের দুই কক্ষের কাজে বিগ্ন ঘটে। পরিস্থিতি যা, তাতে সংসদের বাদল অধিবেশনের বাকি দিনগুলির কাজ কতটা সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।
  • Link to this news (এই সময়)