• গ্রামবাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাহিনীর, ফের রণক্ষেত্র মণিপুর
    বর্তমান | ২৭ জুলাই ২০২৩
  • ইম্ফল: মণিপুর জ্বলছেই! গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আক্রোশে ফের জ্বলল বাড়ি। বুধবার একদল বিক্ষোভকারী মোরে জেলায় অন্তত ৩০টি বাড়ি ও বেশ কিছু দোকান জ্বালিয়ে দিয়েছে। গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের জেরে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মণিপুর। মায়ানমার সীমান্তের কাছে মোরে বাজারের কাছে এই সব পরিত্যক্ত বাড়িতে এদিন আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। যদিও প্রাণহানির কোনও খবর পাওয়া যায়নি। 

    একদিন আগেই কাঙ্গপোকাপি জেলায় দু’টি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। বাস দু’টিতে নিরাপত্তারক্ষীরা ছিলেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দু’টি বাস ডিমাপুর থেকে নিরাপত্তাকর্মীদের নিয়ে আসছিল। সাপোরমেনার কাছে বাস দু’টিকে আটকে তল্লাশি শুরু করে একদল স্থানীয় বাসিন্দা। অন্য সম্প্রদায়ের কোনও মানুষ বাসে রয়েছে কি না দেখছিল তারা। এই সময় কয়েকজন দুষ্কৃতী বাস দু’টিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে আগুনে কারও ক্ষতি হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কবে স্বাভাবিক হবে মণিপুর। 

    মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং জানিয়েছেন, ইম্ফল সহ দু’টি জায়গায় অস্থায়ী বাড়ি তৈরির কাজ শেষের পথে। সেখানে ঘরছাড়ারা আশ্রয় নিতে পারবেন। চলতি মাসের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন ঘড়ছাড়াদের জন্য তিন থেকে চার হাজার অস্থায়ী বাড়ি তৈরি করবে সরকার।   

    এদিকে, মণিপুরে নারী নির্যাতনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকা। ঘটনা প্রসঙ্গে ‘বিস্মিত ও আতঙ্কিত’ শব্দ দু’টি ব্যবহার করেছে বাইডেন প্রশাসন। মঙ্গলবার পাকিস্তানি সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে অমেরিকার বিদেশ দপ্তরের উপ মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, মণিপুরে দুই মহিলার উপর  হামলার ছবি দেখে আমরা হতবাক ও আতঙ্কিত। ওঁদের প্রতি সহমর্মিতা জানাই। নির্যাতিতাদের ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে ভারত সরকারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন জানাই।   
  • Link to this news (বর্তমান)