বুধবার কার্গিল বিজয় দিবসের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীরেন। সেখানেই তিনি বলেন, “আমি মিজেরামের মুখ্যমন্ত্রীকে বলব, অন্য রাজ্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেন না।” বিষয়টিকে তিনি অনুরোধ বললেও, মিজোরাম সরকারের ভূমিকায় মণিপুরের বিজেপি সরকার যে অসন্তুষ্ট, বীরেনের কথায় তা স্পষ্ট বলে অনেকেই মনে করছেন। প্রসঙ্গত, কুকি এবং মেইতেই জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদের কারণে প্রায় তিন মাস ধরে উত্তপ্ত রয়েছে মণিপুর। সে রাজ্যের পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসকারী কুকি উপজাতি একাধিকবার বীরেনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছে। অন্য দিকে, জাতিগত দিক থেকেই মিজোরামের মিজো উপজাতির সঙ্গে মিল রয়েছে কুকিদের। মণিপুরে হিংসা ছড়িয়ে পড়ার পর সে রাজ্য থেকে প্রায় ১৩ হাজার কুকি মিজোরামে আশ্রয় নিয়েছেন।
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা পক্ষপাতের অভিযোগ উড়িয়ে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বুধবার বলেন, “রাজ্য সরকার মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার পর থেকেই রাজ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। মণিপুর সরকার কুকিদের বিরুদ্ধাচারণ করতে চায় না, এমনটা জানিয়ে তিনি বলেন, “মণিপুর সরকার রাজ্যে বসবাসকারী কুকিদের বিরুদ্ধে নয়।” রাজ্যের ‘অখণ্ডতা যাঁরা নষ্ট করতে চাইছে’, তাঁদের উদ্দেশেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন বীরেন।