সাত দিন ধরে লড়াই চালানোর পর বুধবার কোচবিহারের এমজেএন হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই ‘নির্যাতিতা’র। এর পর এসএফআই এবং ডিএসও বৃহস্পতিবার জেলা জুড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ধর্মঘট পালনের ডাক দেয়। সেই মতো বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ছাত্র ধর্মঘটের প্রভাব লক্ষ্য করা যায় জেলার স্কুল এবং কলেজগুলিতে। কোচবিহার জেলায় প্রায় সমস্ত স্কুল বন্ধ। বন্ধ কলেজগুলিও। এসএফআইয়ের কোচবিহার জেলার সভাপতি কৌশিক ঘোষ বলেন, ‘‘যে সব জায়গায় পরীক্ষা রয়েছে সেগুলি আমরা ধর্মধটের আওতার বাইরে রেখেছি। ওই ঘটনার প্রতিবাদে আজ রাজনৈতিক দলমত নির্বিশেষে ধর্মঘটে শামিল হয়েছে।’’
ডিএসওর জেলা সম্পাদক আসিফ আলম বলেন, ‘‘নির্যাতিতার মৃত্যুর প্রতিবাদে গতকাল আমরা জেলা জুড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ধর্মঘট পালনের ঘোষণা করেছিলাম। রাত পর্যন্ত আমরা মাইকে প্রচার চালিয়েছি। আজ জেলা জুড়ে সর্বাত্মক ধর্মঘট পালিত হচ্ছে। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৮ জুলাই ওই নাবালিকা স্কুলে গিয়েছিল। কিন্তু অসুস্থ বোধ করায় সে স্কুল থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। অভিযোগ, সেই সময় কয়েক জন যুবক তাকে তুলে নিয়ে যায়। সন্ধ্যা হয়ে গেলেও ওই নাবালিকা বাড়ি না ফেরায় তার পরিবারের সদস্যেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এর পর গত ২০ জুলাই পুণ্ডিবাড়ি থানায় মিসিং ডায়েরি করে তার পরিবার। অবশেষে তাঁরা জানতে পারেন কোচবিহারের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি ওই নাবালিকা। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে বাপ্পা বর্মণ নামে মূল অভিযুক্ত-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। রুজু হয়েছে অপহরণের মামলাও।