• ব্রিকসে সদস্য বাড়ানোর দাবিতে দাদাগিরি চিনের! তীব্র বিরোধিতা ভারত ও ব্রাজিলের
    প্রতিদিন | ২৮ জুলাই ২০২৩
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিকস (BRICS) জোটে নিজেদের পছন্দমতো দেশকে সদস্যপদ দিতে চাইছে চিন। আমেরিকা (USA) ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (European Union) পালটা হিসাবে ব্রিকস সংগঠনকে তুলে ধরতে চাইছে তারা। সেই জন্যই বেশ কয়েকটি দেশকে দ্রুত ব্রিকসের অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে চিনের (China)। তবে ভারত ও ব্রাজিল এই উদ্যোগের তীব্র বিরোধিতা করবে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, আগামী মাসেই দক্ষিণ আফ্রিকায় বৈঠকে বসবেন পাঁচ দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। সেখানেই নতুন দেশকে সদস্যপদ দেওয়া নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

    বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ব্রিকসের আয়তন বাড়ার বিষয়টি পশ্চিমি দুনিয়া ভাল চোখে দেখছে। তাদের মতে, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ওয়াশিংটন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো ক্ষমতাশালী হয়ে উঠতে চাইছে এই জোট। যেহেতু চিন (China) ও রাশিয়া (Russia) দুই দেশই ব্রিকসের সদস্য, তাই নিজেদের ঘনিষ্ঠ দেশগুলিকেই সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছে মার্কিন বিরোধী দুই রাষ্ট্র। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আবেদনকারী দেশগুলিকে দ্রুত সদস্যপদ দেওয়ার বিষয়ে সবচেয়ে বেশি আগ্রহী চিনই। একাধিক বৈঠকে এই বিষয়ে সওয়াল করেছে তারা। আরও ডজনখানেক দেশ ব্রিকসের অন্তর্ভুক্ত হয়ে আগ্রহী বলেই জানিয়েছেন আধিকারিকরা।

    চিনের এই কাজেই তীব্র বিরোধিতা করবে ভারত ও ব্রাজিল, এমনটাই জানা গিয়েছে। যদিও দুই দেশের বিরোধিতার কারণ অনেকটাই আলাদা। ব্রাজিলের দাবি, পশ্চিমি দুনিয়ার সঙ্গে টক্কর দেওয়ার জন্য ব্রিকসে অন্য দেশকে সদস্য পদ দেওয়ার বিষয়টি ঠিক নয়। তবে ভারত সেই পথে হাঁটবে না। ভারতের দাবি, এই গোষ্ঠীতে অন্য দেশ আদৌ যোগ দিতে পারবে কিনা তা নিয়ে কঠোর নিয়মকানুন তৈরি করা দরকার। সদস্যপদ না দিয়েও পরিস্থিতি বিচার করে এই গোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া যায় কিছু দেশকে, সেটাই ভারতের মত। পর্যবেক্ষক হিসাবেও বেশ কিছু রাষ্ট্রকে আমন্ত্রণ জানানোর পক্ষে নয়াদিল্লি।

    ভারতের মতে, আর্থিকভাবে উন্নয়নশীল দেশের পাশাপাশি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলিকেই ব্রিকসের সদস্যপদ দেওয়া উচিত। সৌদি আরবের মতো একনায়কতান্ত্রিক দেশকে ব্রিকসে স্বাগত জানাতে একেবারেই রাজি নয় ভারত। তবে বন্ধুরাষ্ট্র চিনের মতো ব্রিকসের সদস্যপদ বাড়াতে সেরকম আগ্রহী নয় রাশিয়া। সেদেশের তরফে বলা হয়েছে, যদি অন্য সদস্যরা একমত হয় তাহলে নতুন রাষ্ট্রকে স্বাগত জানাতে তাদের আপত্তি নেই।
  • Link to this news (প্রতিদিন)