• নাকাশিপাড়ায় নির্দল প্রার্থীর সমর্থককে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ, মহরমের মুখে আতঙ্ক
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৯ জুলাই ২০২৩
  • পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটে গিয়েছে। আগামী ১৬ অগস্টের মধ্যে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জারি করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তি। কিন্তু তারপরও কমছে না ভোট পরবর্তী হিংসা। এবার আবার রাজ্যে ঘটল রাজনৈতিক খুন। বাড়ির দালানে বসে ভাত খাওয়ার সময় ডেকে নিয়ে যাওয়া হল এক নির্দল প্রার্থীর সমর্থককে। তারপর রাতের অন্ধকারে কুপিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। নদিয়ার নাকাশিপাড়ার এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামবাসীদের মনে। আজ, শনিবার মহরমের দিনেও এটাই চর্চিত হচ্ছে।

    এদিকে বাড়ি থেকে ঢেকে নিয়ে এসে যখন পিটিয়ে, কুপিয়ে খুন করা হচ্ছে তখন চিৎকার করেন ওই সমর্থক। যা শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে যান। তখন পালিয়ে যায় ওই দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে তখনই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বেথুয়াডহরি গ্রামীণ হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই হত্যাকারীরা প্রত্যেকে শাসকদল আশ্রিত বলে দাবি করেছে মৃতের পরিবার। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানার বীরপুরে এসে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এলাকায় চাপা উত্তেজনা থাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ বাহিনী।

    অন্যদিকে মৃত ব্যক্তির নাম খবীর শেখ (৪৫)। নির্দল প্রার্থীর সমর্থক ছিলেন তিনি। তাঁকেই খুন করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। আর মৃতের ছেলে সামিউল শেখের অভিযোগ, ‘‌বাড়ির দালানে বসে বাবার সঙ্গে ভাত খাচ্ছিলাম। তখনই বাবাকে এসে ডেকে নিয়ে যায় কয়েকজন। অনেকটা সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর বাবার চিৎকার শুনতে পাই। প্রতিবেশীরাও ছুটে আসেন। গিয়ে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় বাবা পড়ে আছে। তখনই তাঁকে নিয়ে ছুটি হাসপাতালে। তবে চিকিৎসকরা বাবাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় তৃণমূলের মস্তান বাহিনী বাবাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল। এবার সেটাই করল। এই খুনের সঙ্গে যারা যুক্ত সকলকে পুলিশ কঠোর শাস্তি দিক।’‌

    আরও পড়ুন:‌ ‘‌আমরা স্বেচ্ছায় গিয়েছি, কেউ অপহরণ করেনি’‌, পুলিশকে চিঠি দিয়ে জানালেন জয়ী কাউন্সিলররা

    আর কী জানা যাচ্ছে?‌ যদিও এই খুন নিয়ে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের নাকাশিপাড়ার ব্লক সভাপতি কনিষ্ক চট্টোপাধ্য়ায় এই ঘটনা ঘটার পর সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‌এই ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক যোগ নেই। পারিবারিক গণ্ডগোলের জেরে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। এখন কিছু হলেই তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে অভিযোগ ওঠে। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’‌ নদিয়া জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান নাসিরুদ্দিন লাল বলেন, ‘যে কোনও মৃত্যুই বেদনা দেয়। তবে সব মৃত্যুর সঙ্গে রাজনীতিকে না জড়ানোই ভাল।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)