• যুবককে অপহরণে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ, ফিল্মি কায়দায় গ্রেপ্তার ৪ দুষ্কৃতী
    প্রতিদিন | ৩০ জুলাই ২০২৩
  • রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: যুবককে অপহরণ করে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছিল দুষ্কৃতীরা। সেই টাকা নিয়ে এসেই ফিল্মি কায়দায় পুলিশের হাতে ধরা পড়ল চার অভিযুক্ত। পলাশিপাড়া থানার পুলিশের তৎপরতায় মুর্শিদাবাদ থেকে উদ্ধার নদিয়ার যুবক।

    অপহৃত যুবকের নাম ফিরোজ মণ্ডল (২২)। পলাশিপাড়া থানার গোপীনাথপুরের মাঝপাড়া এলাকার বাসিন্দা ফিরোজ পেশায় গাড়ি চালক। চলতি মাসের ২২ তারিখে মুর্শিদাবাদের নওদা থানা এলাকার কামদপুরের বাসিন্দা মিলন শেখের সঙ্গে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছিলেন। তারপর থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পরিবারের। গত ২৫ তারিখ ফিরোজের বাবা জিব্রাইল মণ্ডল পলাশিপাড়া থানায় ছেলের নামে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত নামে পুলিশ।

    ২৭ তারিখ ফিরোজের বাবার মোবাইলে অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণের কথা তাঁরা পুলিশকে জানায়। সেই মুক্তিপণকে ঢাল করে ফাঁদ পাতে পুলিশ। এরপর ২৮ তারিখ সকালে ফিরোজের বাবাকে ফোন করে টাকা চাইলে ছ?লক্ষ টাকায় রফা হয়। টাকা নিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলার একটি নির্দিষ্ট ঠিকানায় যেতে বলে তাঁকে।

    এদিকে পুলিশ আগে থেকেই সাদা পোশাকে ওই জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল। আগে থেকেই ওই জায়গায় ফাঁদ পেতে বসেছিল তারা। ফিরোজের পরিবারের লোকজনও টাকা নিয়ে ওই জায়গায় পৌঁছয়। তিনজন ফিরোজকে নিয়ে গাড়ি থেকে নামতেই চারিদিক থেকে পুলিশ তাদের ঘিরে ফেলে। ফিরোজকে ফেলে পালানোর চেষ্টা করেন অভিযুক্তরা। কিন্তু পুলিশ প্রত্যেকই ধরে ফেলে। সেই সঙ্গে যে গাড়িতে অপহরণকারীরা এসেছিল সেই গাড়ির চালককেও গ্রেপ্তার করে ও গাড়িটি আটক করে।

    শুক্রবার রাতে অভিযুক্ত চারজনকে মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতরা হলেন জুয়েল সরকার, উত্তম সরকার, দিব্যেন্দু হালদার ও ইঞ্জামুল হক। এঁদের মধ্যে জুয়েলের বাড়ি ঝাড়খণ্ড রাজ্যের পাকুর জেলার মহেশপুর থানা এলাকায়। তেহট্টর এসডিপিও শুভতোস সরকার বলেন, ?আমরা অপহরণকারীদের মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার মোড়গ্রাম এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করি ও অপহৃতকে উদ্ধার করে পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছি। অপহরণকারীরা ওই যুবককে ঝাড়খণ্ড এলাকায় নিয়ে গিয়ে গোপন ডেরায় রেখেছিল। পরে তাঁদের ফাঁদ পেতে ধরা হয়।?

    এই বিষয়ে অপহৃত যুবক ফিরোজ মণ্ডল বলেন, ?আমি সকাল ন?টার দিকে মিলন শেখের সঙ্গে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছিলাম। এরপর আর আমার কিছু মনে নেই। পরে দেখি আমাকে একটা ঘরে আটকে রাখা হয়েছে। বুঝতে পারি টাকার লোভে মিলন এই ঘটনা ঘটিয়েছে।? ফিরোজের বাবা বলেন, ?আমি ছেলেকে ফিরে পেয়েছি। এটাই খুব আনন্দের। পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই।?
  • Link to this news (প্রতিদিন)