• প্রতিনিধি দলকে সামনে পেয়ে হাপুস নয়নে কেঁদে ভাসালেন নির্যাতিতার মা, রাখলেন একটাই আর্জি
    ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস | ৩০ জুলাই ২০২৩
  • ‘বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়ার’ ২১ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল, দুদিনের সফরে গতকাল মণিপুরে পৌঁছেছে, দিল্লিতে ফেরার আগে রবিবার রাজ্যপাল অনুসুইয়া উইকির সঙ্গে দেখা করবেন। আলোচনা করবেন রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে।

    শনিবার, ২১-সদস্যের প্রতিনিধি দল দাঙ্গা-বিধ্বস্ত চুরাচাঁদপুর পরিদর্শন করেন। ত্রাণ শিবিরে থাকা অসহায় মানুষদের সঙ্গে দেখা করে কথাও বলেন। সড়কপথে যাতায়াতের ঝুঁকি এড়াতে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা হেলিকপ্টারে চূড়াচাঁদপুরে নামেন। পরে, ইম্ফালে, তারা মেইতি ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করেন।

    টিএমসি সাংসদ সুস্মিতা দেব সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ‘যাদের সঙ্গে আমাদের দল দেখা করেছে তাদের মধ্যে একজন ছিলেন নগ্ন ভিডিও কাণ্ডের নির্যাতিতার মা। তিনি আমাদের কাছে অনুরোধ করেন, একবার তাকে অন্তত তার ছেলে এবং স্বামীর মৃতদেহ দেখতে দেওয়ার। যারা ইতিমধ্যেই জাতিগত সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন’। টিএমসি সাংসদ এদিন বলেন, রবিবারের বৈঠকে বিষয়টি রাজ্যপালের সামনে উত্থাপন করবেন।

    ঘটনাটি শেয়ার করে সুস্মিতা দেব সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে আরও বলেছেন, “তার মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছিল, এবং তার স্বামী ও ছেলেকে পুলিশের সামনেই খুন করা হয়। এই ঘটনায় আজ পর্যন্ত একজন পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়নি।”

    তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘নির্যাতিতা অভিযোগ করেছেন স্থানীয় পুলিশের সামনে জনতা তাকে যৌন নির্যাতন করেছিল, কিন্তু কেউ তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি’।

    ডিএমকে রাজ্যসভার সাংসদ কানিমোঝি পিটিআই-কে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন,  “একজন মহিলার কাছে মেয়ের ধর্ষণের ঘটনা মেনে নেওয়ার থেকে দুঃখের কিছু হয় না। একই দিনে তিনি তার স্বামী এবং তার ছেলেকে হারিয়েছেন এবং তারা আজ পর্যন্ত কোন বিচার পান নি”।

    হিংসা-বিধ্বস্ত মণিপুরে কুকি-জোমি সম্প্রদায়ের দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানোর একটি ভিডিও এই মাসের শুরুর দিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।ভিডিওটি দুই মাস পুরানো বলে জানা গেছে। ভিডিও কাণ্ডে দেশ জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। বিবৃতি দিতে বাধ্য হয় খোদ প্রধানমন্ত্রী। ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে

    ঘটনার গুরুত্ব বুঝে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার এই মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই) তদন্তের সুপারিশ করেছে এবং তদন্তকারী সংস্থা এই মামলায় ইতিমধ্যে একটি এফআইআরও দায়ের করেছে।

    মণিপুরে চলমান হিংসায় এখনও পর্যন্ত ১৬০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং আরও হাজার হাজার মানুষ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। মেইতেই সম্প্রদায়ের তফসিলি উপজাতি (এসটি) মর্যাদার দাবিতে গত ৩মে থেকে মণিপুরে হিংসা অব্যাহত রয়েছে।
  • Link to this news (ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)