সংবাদদাতা, লালবাগ: ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে নশিপুর রেলসেতুর উপর দিয়ে ট্রেনের চাকা গড়াবে। এই লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে রেলপথে নশিপুর-আজিমগঞ্জকে জুড়ে দেওয়ার কাজ জোরকদমে চলছে। যদিও চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বাকি কাজ শেষ করার টার্গেট রয়েছে। শনিবার মুর্শিদাবাদ জেলায় শিয়ালদহ-লালগোলা শাখার কয়েকটি স্টেশন ও নশিপুরে রেলের কাজ পরিদর্শনে এসে এমনটাই জানালেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অমরপ্রকাশ দ্বিবেদী। পূর্বরেলের সর্বোচ্চ কর্তার এই আশ্বাসে জেলাবাসীর দীর্ঘ প্রায় তিন দশকের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে আরও এক ধাপ এগল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এর আগে ২২ জুলাই, নশিপুর রেলসেতুর কাজ পরিদর্শন করেছিলেন পূর্ব রেলের চিফ ইঞ্জিনিয়ার অনিল কুমার।
এদিন সকালে বিশেষ ট্রেনে কৃষ্ণপুর স্টেশনে আসেন পূর্ব রেলের জিএম। সেখান থেকে তিনি প্রথমে লালগোলা স্টেশন পরিদর্শন করেন। তারপর কৃষ্ণপুর, ভগবানগোলা ও মুর্শিদাবাদ স্টেশন ঘুরে দেখেন। স্টেশন ঘুরে দেখার সময় রেলের স্থানীয় আধিকারিক ও কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। যাত্রী পরিষেবা ও স্টেশনের পরিকাঠামো সংক্রান্ত খোঁজখবর নেন। ভগবানগোলা-রানিতলা নাগরিক মঞ্চের পক্ষ থেকে ভগবানগোলা স্টেশনে যাত্রী শেড, পানীয় জল, আরও একটি টিকিট কাউন্টার প্রভৃতি দাবিসহ একটি স্মারকলিপি জিএমের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ স্টেশনে মুর্শিদাবাদ জেলা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-এর তরফ থেকে লালবাগ শহরের ১৪৩ নম্বর রেলগেট পুনরায় চালু, বহরমপুর শহরকে যানজট মুক্ত করতে পঞ্চাননতলায় ১৩২ নম্বর রেলগেট সংলগ্ন ফ্লাইওভারের কাজ শুরু সহ একাধিক দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। সংগঠনের সম্পাদক কামাল ভট্টাচার্য বলেন, জিএম আমাদের দাবিগুলি মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। সেগুলি পূরণে আশ্বাস দিয়েছেন। এরপরেই নশিপুর রেলসেতুর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েন জিএম। পরে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, রেলের পরিষেবার বিষয়টি খতিয়ে দেখতেলালগোলা থেকে কৃষ্ণনগর পর্যন্ত একাধিক স্টেশন পরিদর্শনে বেরিয়েছি। বিভিন্ন সংগঠন ও এলাকার মানুষ তাঁদের দাবিদাওয়া তুলে ধরেছেন। সেগুলি পূরণের চেষ্টা করা হবে।