• বুলডোজারের পিছনে গাড়ির ধাক্কায় শ্রমিকের মৃত্যু, চিকিৎসক সহ জখম ৬
    বর্তমান | ৩০ জুলাই ২০২৩
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: মৃত্যুফাঁদ হয়ে উঠেছে ১৯নম্বর জাতীয় সড়ক। প্রায় প্রতি সপ্তাহেই দুর্ঘটনায় কেউ না কেউ প্রাণ হারাচ্ছেন। শনিবার সকালেও জামালপুর থানার জৌগ্রামের কাছে দুর্ঘটনায় এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। দাঁড়িয়ে থাকা একটি বুলডোজারের পিছনে চারচাকা গাড়ি ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যুর পাশাপাশি গাড়িতে থাকা এক চিকিৎসক সহ ছ’জন জখম হয়েছেন। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম তরুণ মান্না(৪৫)। বাড়ি ঝাড়গ্রামে। তিনি জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণে শ্রমিকের কাজ করছিলেন। দুর্ঘটনায় জখমদের মধ্যে তিনজনকে অনাময় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বাকি তিনজনের চিকিৎসা চলছে। তাঁদের সকলেরই বাড়ি পাইকপাড়ায়। চালক ছাড়া সকলেই একই পরিবারের সদস্য। 

    দুর্ঘটনায় জখম এক ব্যক্তি জানান, এদিন সকালে তাঁরা গাড়িতে চড়ে পুরুলিয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজের জন্য রাস্তার পাশে একটি বুলডোজার রাখা ছিল। গাড়ির চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বুলডোজারে ধাক্কা মারেন। সেইসময় তরুণবাবু বুলডোজারের কাছেই দাঁড়িয়েছিলেন। চারচাকা গাড়িটি তাঁকে ধাক্কা মেরে বুলডোজারে আঘাত করে। জখম ওই শ্রমিককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় অনাময় হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গাড়িটির সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, টেকনিক্যাল সমস্যার জন্য এই দুর্ঘটনা হতে পারে।

    জাতীয় সড়কে নিয়মিত দুর্ঘটনা হওয়ায় জেলায় ক্ষোভ বাড়ছে। জৌগ্রামের বাসিন্দা কাইফ শেখ বলেন, ধীরগতিতে রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ চলছে। অনেক জায়গাতেই রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে গিয়েছে। দুর্ঘটনার পাশাপাশি যানজটও বাড়ছে। গলসি এবং শক্তিগড় থানা এলাকায় সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা হচ্ছে। রাস্তার পাশে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রাংশ রেখে দেওয়া হচ্ছে। চালক একটু অসচেতন হলেই দুর্ঘটনা হচ্ছে। অনাময় হাসপাতালে দাঁড়িয়ে আর এক ব্যক্তি বলেন, জাতীয় সড়কের বেশ কয়েকটি জায়গা দুর্ঘটনাপ্রবণ হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি জামালপুর থানা এলাকায় সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা হয়েছে। এছাড়া শক্তিগড় এবং গলসি থানা এলাকাতেও দুর্ঘটনা হয়েছে। দুর্ঘটনাপ্রবণ এই জায়গাগুলিতে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। ওই জায়গাগুলি দুর্ঘটনাপ্রবণ জোন হিসেবে চিহ্নিত করলে চালকরা সচেতন হবেন। 

    জাতীয় সড়ক নির্মাণকারী সংস্থার এক আধিকারিক বলেন, কাজ শেষ করার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। রাস্তার পাশে বুলডোজার বা অন্য যন্ত্রাংশ রাখা হলে চারদিক ঘিরে দেওয়া হয়। দূর থেকে তা দেখা যায়।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)