• রাতে রেস্তরাঁয় ঢুকে অসভ্যতা অভিযুক্ত বিদায়ী প্রধানের দাদা
    বর্তমান | ৩০ জুলাই ২০২৩
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রানাঘাট: অভব্য আচরণ এবং মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল শান্তিপুরের নাবলা পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধানের দাদা ও তাঁর সঙ্গীর বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে মহিলা পরিচালিত একটি রেস্তরাঁয় ঢুকে মদ্যপ অবস্থায় কর্মচারীদের সঙ্গে তিনি অভব্য আচরণ করেন। সেইসঙ্গে অভিযোগ, তিনি রেস্তরাঁর মালিকের স্বামীকে মারধর করে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে  নিয়েছেন। ঘটনায় শান্তিপুর থানার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত অচিন্ত্য বিশ্বাস। পুলিসের হাতে গ্রেপ্তার পঞ্চায়েত প্রধানের দাদা অমৃত প্রামাণিকের শাগরেদ নারায়ণ ঘোষ।

    শান্তিপুর থানা এলাকার ফুলিয়া প্রফুল্লনগরের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশেই রয়েছে রেস্তরাঁটি। মূলত মহিলা কর্মচারীদের দ্বারাই পরিচালিত হয় এই রেস্তরাঁ। অভিযোগ, শুক্রবার রাত প্রায় ১১টা নাগাদ সেখানে ঢুকে কর্মচারীদের সঙ্গে অভব্য আচরণ শুরু করেন নাবলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান সুদীপ প্রামাণিকের দাদা অমৃত প্রামাণিক এবং তাঁর শাগরেদ নারায়ণ ঘোষ। সেই সময় রেস্তরাঁর মালিক অদিতি বিশ্বাসের স্বামী অচিন্ত্য বিশ্বাস ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁকে মারধর করেন ওই দুই অভিযুক্ত। একই সঙ্গে ছিনিয়ে নেওয়া হয় তাঁর মোবাইল ফোনটিও। অচিন্ত্যবাবু বলেন, তখন আমাদের রেস্তরাঁ বন্ধ করার সময় হয়ে এসেছিল। মদ্যপান করে ওই দুই ব্যক্তি এখানে ঢুকে আমাদের মহিলা কর্মচারীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ শুরু করেন। আমি প্রতিবাদ করলে তাঁরা আমার উপর চড়াও হয়ে মারধর শুরু করেন। রাতেই শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে নারায়ণ ঘোষ নামের এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। তবে মূল অভিযুক্ত অমৃত প্রামাণিক তখনই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। শনিবার সকালে রেস্তরাঁয় ঢুকে দেখা গেল মহিলা কর্মচারীদের অধিকাংশই সেখানে অনুপস্থিত রয়েছেন। আতঙ্কিত হয়ে কাজে এসেছেন মাত্র একজন কর্মী। তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেকেই আতঙ্কিত হয়ে রয়েছি। এমন ঘটনা এর আগে কখনও হয়নি এখানে। রেস্তরাঁর মালিক অদিতি বিশ্বাস বলেন, দেড় বছর আগে আমরা এই রেস্তরাঁ শুরু করি। আমাদের এলাকার যে সমস্ত মহিলারা দুঃস্থ পরিবার থেকে এসেছেন, তাঁদের কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যেই চালু করেছিলাম এই রেস্তরাঁ। এখন আমাদের নামে বদনাম রটানোর জন্যই পরিকল্পিতভাবে এই নোংরা কাজ করা হয়েছে। ভয়ে এখন অধিকাংশ কর্মীই কাজে আসতে চাইছেন না। 

    যদিও নিজের দাদার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নাবলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান তৃণমূলের সুদীপ প্রামাণিক। তাঁর দাবি, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে ও ভিত্তিহীন। অকারণে আমার দাদার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। একটা সামান্য বচসার ঘটনাকে রাজনৈতিকভাবে ব্যাখ্যা করার কোনও মানেই হয় না। শান্তিপুর থানার পুলিস জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)