• পঞ্চায়েতের ত্রিস্তরে নির্বাচিতদের প্রশিক্ষণে থাকছে স্বচ্ছতার পাঠ
    বর্তমান | ৩০ জুলাই ২০২৩
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোট মিটতেই রাজ্যজুড়ে ৩ লক্ষ ২৫ হাজার ৩৪১ জন পঞ্চায়েতের প্রতিনিধি এবং কর্মীর প্রশিক্ষণের তোড়জোড় শুরু করল রাজ্য সরকার। লক্ষ্য আইএসও মানের পরিষেবা। পাশাপাশি পঞ্চায়েতের আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে কীভাবে স্বচ্ছতা বজায় রাখা যায়, সেই পাঠও দেওয়া হবে এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে। 

    ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু এই প্রশিক্ষণ প্রসঙ্গে রাজ্যের এক আধিকারিক জানান, নবনির্বাচিতদের শেখানো হবে, অনলাইন পরিষেবা বৃদ্ধি এবং পঞ্চায়েতের তিনটি স্তরের মধ্যে সমন্বয় আরও কীভাবে ভালো করা যায়।  প্রসঙ্গত, ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। এই ইস্যুতে রাজ্যের বরাদ্দও আটকে দিয়েছে কেন্দ্র। ফলে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের পর থেকে একটি টাকাও পায়নি রাজ্য। বকেয়া রয়েছে সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা। সেই কারণে আরও ভালো করে যাতে বিভিন্ন প্রকল্প সংক্রান্ত নথি এবং হিসাব বজায় রাখা যায়, সেই লক্ষ্যেই প্রশিক্ষণের মূল অংশে থাকছে হিসাব রক্ষণ সংক্রান্ত আইন ও বিধির বিষয়গুলি। নথি সংরক্ষণের বিষয়ও থাকছে এই প্রশিক্ষণের নতুন করে সংযোজিত বিষয়গুলির মধ্যে। 

    এই প্রশিক্ষণের দায়িত্বে থাকছে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (আইআইএম) কলকাতা, আইআইটি খড়্গপুর, ইনস্টিটিউট অব রুরাল ম্যানেজমেন্ট কর্তৃপক্ষ। আইআইএম কলকাতা প্রশিক্ষণ দেবে ২১টি জেলা পরিষদের ৪২ জন সভাধিপতি এবং সহ সভাধিপতিকে। পঞ্চায়েত সমিতির ৬৯০ জন সভাপতি এবং সহকারী সভাপতিদের প্রশিক্ষণ দেবে আইআইটি খড়্গপুর এবং ৩৩৩৯টি পঞ্চায়েতের প্রধান এবং উপপ্রধানদের প্রশিক্ষণের দায়িত্বে থাকছে ইনস্টিটিউট অব রুরাল ম্যানেজমেন্ট। ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে প্রশিক্ষণ। এদের সহযোগিতা করার জন্য এবার থাকছে ইউনিসেফ সহ আরও দুই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও। 

    রাজ্যের এক আধিকারিক বলেন, একেবারে নতুন সিলেবাস তৈরি করে এবারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এই প্রথম হিসাব রক্ষণ এবং নথি সংরক্ষণের বিষয়গুলি যুক্ত করা হচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)