• কার অঙ্গুলিহেলন? দিলীপ ইস্যুতে বিভক্ত বঙ্গ বিজেপি
    বর্তমান | ৩০ জুলাই ২০২৩
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি ও কলকাতা: বঙ্গ বিজেপির দাপুটে নেতা দিলীপ ঘোষ আর কোনও সাংগঠনিক পদে রইলেন না। আপাতত তিনি শুধুই মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ। শনিবার বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার এই ঘোষণার পরেই দলের অন্দরে ব্যাপক গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এমন জনপ্রিয় নেতা, যিনি কি না সর্বভারতীয় সহ সভাপতির পদ আলো করে ছিলেন, তাঁর ‘পদচ্যুতি’র কারণ খুঁজতে বিভক্ত বঙ্গ বিজেপি। দিল্লি ঘনিষ্ঠ কোনও নেতা বা ‘সিন্ডিকেটে’র অঙ্গুলিহেলনেই কি দিলীপবাবুর এই হাল? তবে এই যুক্তি উড়িয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে একাংশের দাবি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় স্থান হতে চলেছে তাঁর। এদিন দিল্লিতে দিলীপবাবু সংক্ষিপ্ত মন্তব্যে জানিয়েছেন, লোকসভা ভোটে সাংসদদের নিজের এলাকায় সময় দিতে হবে। তাই কেন্দ্রীয় টিম থেকে সাংসদদের বাদ দেওয়া হয়েছে।

    কিন্তু নাড্ডা প্রণীত নয়া তালিকায় তো অন্য রাজ্যের দলীয় সাংসদের নাম রয়েছে। মন্ত্রিসভা ছাড়াও গেরুয়া শিবিরে আরও একটি জল্পনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। তা হল, লোকসভা ভোট ও বঙ্গ বিজেপির নড়বড়ে সংগঠন মাথায় রেখে দিলীপবাবুকে আবারও হয়তো রাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হতে পারে। কোনও জল্পনাতেই সরকারিভাবে মন্তব্য করেনি বিজেপি। প্রসঙ্গত, নতুন কেন্দ্রীয় টিমে বাংলার প্রতিনিধি শুধুমাত্র অনুপম হাজরা। তাঁকে দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে দিল্লিতে দফায় দফায় রাজ্য বিজেপির নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। একাধিকবার দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল রাজ্য নেতৃত্বকে। সংসদের বাদল অধিবেশনের জন্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার দিল্লিতেই ছিলেন। রদবদলে সঙ্ঘ পরিবারেরও সায় আছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সুকান্তবাবুর সঙ্গে সঙ্ঘ পরিবার ছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সরকারি বাসভবনে জেপি নাড্ডার উপস্থিতিতে বৈঠক হয়েছে। আবার সংসদ ভবনেই নাড্ডার সঙ্গে আলাদা সাক্ষাৎও করেছেন সুকান্তবাবু। যাবতীয় মিটিংয়ের দিনকয়েকের মধ্যেই দিলীপবাবুর নাম বাদ, স্বাভাবিকভাবেই উস্কে দিচ্ছে জল্পনা।

    অন্যদিকে, এদিনই শহরে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। পঞ্চায়েতে জয়ী বিজেপি প্রার্থীদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে তাঁর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা রাজ্যে হিংসা ছড়িয়েছেন। রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা পাল্টা বলেন, তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি বলেছিলেন, দেশদ্রোহীদের গুলি মারো। ওঁর জেলে থাকা উচিত। কিন্তু যেহেতু তিনি বিজেপি আছেন, তাই মুক্ত। তাঁর আরও বক্তব্য, মণিপুর জ্বলছে। এই সময় তিনি বাংলায় পঞ্চায়েতের হিংসা নিয়ে কথা বলছেন। প্রধানমন্ত্রী সহ অন্যান্য মন্ত্রীরাও মণিপুরের ব্যাপারে নিশ্চুপ।
  • Link to this news (বর্তমান)