• বিহারে পড়তে গিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু শেওড়াফুলির মেধাবী ছাত্রের
    বর্তমান | ৩০ জুলাই ২০২৩
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: বিহারে কৃষিবিজ্ঞান নিয়ে পড়তে গিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু হল হুগলির বৈদ্যবাটির এক ছাত্রের। শনিবার ওই ছাত্রের দেহ বৈদ্যবাটিতে ফিরিয়ে আনা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পড়ুয়ার নাম সুরম্য সাঁতরা (২১)।  তিনি শেওড়াফুলির জগবন্ধু মুখার্জি লেনের বাসিন্দা ছিলেন। পরিবারের দাবি, কলেজ হস্টেলের ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে সুরম্যর মৃত্যু হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ তাদের জানিয়েছে। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষের আচরণ ও কথাবার্তায় অনেক অসঙ্গতি রয়েছে বলে অভিযোগ। এই মৃত্যুকে নিছক দুর্ঘটনা বলে মানতে পারছেন না তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তবে শনিবার রাত পর্যন্ত এনিয়ে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। সূত্রের খবর, সুরম্য মেধাবী ছাত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ২০২২ সালে তিনি বিহারের একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান। সেখানেই কলেজ হস্টেলে তিনি থাকতেন। শুক্রবার ভোররাতে সেখান থেকে তাঁর বাড়িতে ফোন করে বিহারে চলে আসার জন্য বলা হয়। হস্টেল কর্তৃপক্ষ তখন জানায়, ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখম হয়েছেন সুরম্য। পরিবারের সদস্যরা সঙ্গে সঙ্গে রওনা হয়ে যান। কিন্তু হস্টেল এবং সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই বক্তিয়ারপুর এলাকায় তাঁদের হাতে ছাত্রের মরদেহ তুলে দেওয়া হয়। কয়েকজন সিনিয়র ছাত্র দেহ হস্তান্তর করেন। তাঁরাই জানান যে, সুরম্যকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তিনি মারা গিয়েছেন। মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। গোটাটাই একটি দুর্ঘটনা। শোকাতুর পরিবার এনিয়ে তখন কোনও বিতর্ক বাড়ায়নি। শনিবার শেওড়াফুলিতে দেহ সৎকার করা হয়। পরিবারের দাবি, এই মৃত্যুর পিছনে ‘অস্বাভাবিক’ কোনও ঘটনা আছে। মৃতের বাবা সুশান্ত সাঁতরা বলেন, ‘আমাদের কলেজ, হস্টেল বা হাসপাতাল, কোথাও যেতে দেওয়া হয়নি। আমাদের জোরালো সন্দেহ যে আমার ছেলে দুর্ঘটনার কারণে মারা যায়নি।’
  • Link to this news (বর্তমান)