• হেরেও মানুষের পাশে সিপিএম, বিকল্প পঞ্চায়েতের মাধ্যমে পরিষেবা দেবেন পরাজিত প্রার্থীরা
    প্রতিদিন | ৩০ জুলাই ২০২৩
  • রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: কোনও পঞ্চায়েত এলাকায় পরাজিত প্রার্থীদের নিয়েও বিকল্প পঞ্চায়েতের পরিকল্পনা সিপিএমের (CPM)। সেসব এলাকায় পরিষেবা দিতে নয়া কর্মসূচি নিল লাল পার্টি। দলের তরফে একে ‘বিকল্প’ বা ‘ছায়া’ পঞ্চায়েত বলা হচ্ছে। পঞ্চায়েত ভোটে ফলাফল ভাল না হলেও জনসংযোগ চালিয়ে যেতে এমনই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে আলিমুদ্দিনের তরফে। চব্বিশের লোকসভা ভোটকে (Lok Sabha Election) সামনে রেখে জনসংযোগের লক্ষ্যেই এই কৌশল নিয়েছে আলিমুদ্দিন। সিপিএম রাজ‌্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Md. Selim) শনিবার বলেন, ‘‘আমরা বিকল্প মডেলে পঞ্চায়েত গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছি, মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন‌্য।’’

    সিপিএম সূত্রে খবর, বহু জায়গায় বাম ও সহযোগী দল হেরে গিয়েছে। কোথাও আবার বিরোধী প্রার্থীরা জয়ী হলেও সার্টিফিকেট না দিয়ে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোথাও অভিযোগ, ভোট লুট করে হারানো হয়েছে। সেইসব জায়গায় পরাজিত পঞ্চায়েত প্রার্থীরা বিকল্প পরিষেবা (Alternate) দেবে। স্থানীয় মানুষরা যাতে পরিষেবা পায়, জয়ী প্রার্থীদের পাশাপাশি তাঁরাও সেই কাজ চালিয়ে যাবেন।

    এমনিতেই ৩৪ বছর ধরে বাংলার ক্ষমতায় থাকার পর ২০১১ সাল থেকে জনবিচ্ছিন্ন হতে শুরু করে সিপিএম। তারপর হাজার চেষ্টাতেও ভোটব্যাংক পর্যাপ্ত পূর্ণ হয়নি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Election 2021) তা একেবারে শূন্যে নেমে এসেছিল। এই মুহূর্তে রাজ্যে সিপিএমের কোনও বিধায়ক নেই। সংগঠনের ভরাডুবি কাটাতে তরুণ প্রজন্মকে খানিকটা এগিয়ে দিয়েছে আলিমুদ্দিন। সদ্য শেষ হওয়া পঞ্চায়েত ভোটে শর্তসাপেক্ষে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা করে লড়েছে লাল পার্টি। গ্রামবাংলার সেই জনরায়ে কিছুটা হলেও ফল মিলেছে। কাস্তে-হাতুড়ি-তারা কোথাও কোথাও জয় পেয়েছে। আর তারপরই জয়ী-পরাজিত প্রার্থীরা একযোগে জনসংযোগে মন দিয়েছেন। যার বাস্তব রূপায়ণ এই ‘বিকল্প’ পঞ্চায়েত।
  • Link to this news (প্রতিদিন)