• Nuclear Explosion on Moon: পরমাণু বিস্ফোরণে চাঁদ ওড়ানোর ছক! ভয়ংকর বিপজ্জনক পরিকল্পনার নেপথ্যে কোন দেশ?
    এই সময় | ৩০ জুলাই ২০২৩
  • চাঁদের পথে ছুটে চলেছে ISRO-র চন্দ্রযান-৩। পৃথিবীর উপগ্রহটির দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার ওই নভযান। নয়াদিল্লির এই উচ্চাকাঙ্খী চন্দ্র অভিযানের দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব। কিন্তু জানতে অবাক হবেন, ৭৩ বছর আগে পরমাণু বোমায় চাঁদকেই উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। কেন এই বিপজ্জনক সিদ্ধান্ত?

    এই সময় ডিজিটাল -র প্রতিবেদনে রইল সেই অজানা ইতিহাস। চাঁদে পরমাণু বিস্ফোরণ! গত শতাব্দীর মাঝামাঝি চাঁদে পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইউরেনিয়াম বা প্লুটোনিয়াম নয় সরাসরি হাইড্রোজেন বোমা ফেলার নীল নকশা তৈরি করে ফেলেছিল ওয়াশিংটন।

    কিন্তু মার্কিন সেনার আপত্তিতে শেষ পর্যন্ত সেই অপারেশন বাতিল করে হোয়াইট হাউস। সম্প্রতি এই নিয়ে New York Times-এ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে দাবি করা হয়েছে, জাপানে পরমাণু বোমা ফেলার পাঁচ বছরের মাথায় ১৯৫০-এ এই পরিকল্পনা করেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হ্য়ারি ট্রুম্যান । ওই সময় সোভিয়েত রাশিয়ার সঙ্গে চলছিল ঠাণ্ডা লড়াই। ফলে গোটা পরিকল্পনা গোপন রাখার নির্দেশ দেন তিনি। Project A119 কী? প্রেসিডেন্টের নির্দেশ মতো অতি গোপনে চাঁদে পরমাণু বিস্ফোরণের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে মার্কিন সেনা। এই পরিকল্পনার নাম দেওয়া হয়, Study of Lunar Research Flight। কোড নেম Project A119। সকলের চোখে ধূলো দিতে জেনেবুঝেই এই নাম রাখা হয়েছিল। যাতে মনে হয় চাঁদ নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।

    পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এক তরুণ মহাকাশ গবেষকের কাঁধে দায়িত্ব দেয় পেন্টাগন। চাঁদের বুকে শুধু বোমা ফাটানোই নয়, সেখানকার পাথর, ধূলোবালি ও গ্যাস নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার পরিকল্পনাও ছিল মার্কিন গবেষকদের।

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অবশ্য দাবি, এর পিছনে অন্য অংক ছিল আমেরিকার। ওই সময় মহাকাশ গবেষণায় তাঁদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিল সোভিয়েত রাশিয়া। মহাশূন্যে প্রথমবার নভশ্চর পাঠিয়েছিল মস্কোই। অন্যদিকে কৃত্রিম উপগ্রহ তৈরি করতে গিয়ে চরম ধাক্কা খায় আমেরিকা। মহাকাশে পৌঁছনোর আগেই ধ্বংস হয়ে যায় তাঁদের রকেট।

    এই অবস্থায় চাঁদের আলো ও অন্ধকারের মধ্যবর্তী সীমানায় পরমাণু বোমা ফাটিয়ে রাশিয়াকে ভয় দেখাতে চেয়েছিল ওয়াশিংটন। খালি চোখে রুশ নাগরিকরা যাতে সেই বিস্ফোরণ দেখতে পান সেই ব্যবস্থাও করা হচ্ছিল। ১৯৯০-তে গোটা বিষয়টি ফাঁস করেন কার্ল সেগান নামের এক বিজ্ঞানী। তিনিও ছিলেন ওই প্রজেক্টে। সেগানের দাবি, শেষ মুহূর্তে বাধা দেয় মার্কিন সেনা।

    চাঁদে পরমাণু বিস্ফোরণের ক্ষতিকর প্রভাব মানুষের উপর পড়বে বলে জানান তাঁরা। এর পরই বাতিল করা হয় ওই পরিকল্পনা।
  • Link to this news (এই সময়)