• Mirzapur Antilia : মিরজাপুরে ১৪ তলার দুর্গসম প্রাসাদ নির্মাণ, মালিকের কীর্তি শুনলেন চোখ কপালে উঠতে বাধ্য
    এই সময় | ৩০ জুলাই ২০২৩
  • এই বাড়ি থেকে যেন আকাশকে ধরে ফেলা যাবে টুক করে। যাকে বলে একেবারে গগনচুম্বী। আকারে বিশাল, ঠিক যেন আস্ত এক দুর্গসম প্রাসাদ। একেঘারে ঘাড় উঁচিয়ে দেখতে হবে সেই বাড়ির চূড়া।

    উত্তরপ্রদেশের মিরজাপুরে এইরকমই প্রাসাদ সমান, দীর্ঘকায় বাড়ি তৈরি করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন এক যুবক। নিয়মের কোনও রকম তোয়াক্কা না করে ইটের ওপর ইট গেঁথে ১৪ তলা অতিকায় বাড়ি বানিয়ে ফেলেছেন ওই যুবক।

    শ্রুতিহারের বাসিন্দা সিয়ারাম প্যাটেলের এহেন কার্যকলাপ এখন কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে মিরজাপুরের আনাচে-কানাচে। বাড়ি তৈরির নিয়মের ধার ধারেননি তিনি। হঠাৎই তৈরি করে ফেলেছেন ১৪ তলার প্রাসাদ সমান ওই বাড়িটি। পেশায় সিয়ারাম একজন মেডিক্যাল প্র্যাকটিসিওনার।

    চারবার বিয়ের কীর্তিও রয়েছে সিয়ারামের শুধুই বাড়ি নয়, আরও অনেক কীর্তি রয়েছে এই সিয়ারামের। এক কথায় গুনধর সিয়ারাম। বেআইনিভাবে চারবার বিয়ের রেকর্ড রয়েছে সিয়ারামের পকেটে। ছয় সন্তানের পিতা তিনি। কয়েক বছর আগে নিজের শহর ছাড়েন সিয়ারাম। ঘাঁটি গেড়েছিলেন সোনভদ্রের কাছাকাছি একটি জেলায়। তবে মাঝেমধ্যে যাতায়াত ছিল মিরজাপুরে।

    বাবার নামে অভিযোগ আনেন মেয়ে বাবার অবৈধ কার্যকলাপের বিরোধিতা শুরু করেন সিয়ারামের এক মেয়ে। তৃতীয় বিবাহের পর বেআইনি কার্যকলাপ বন্ধে উঠে পড়ে লেগে পড়েছিলেন তিনি। প্রশাসনকে জানান, ওই বাড়িটি অবৈধভাবে তৈরি করেছেন তাঁর বাবা।

    বাড়িটি অবিলম্বে সিল করে দেওয়ার আবেদন জানান তিনি । তাঁর অভিযোগ, এদিকে বাবা তাঁদের কোনও রকম আর্থিক সহযোগিতা করেন না। অথচ অবৈধ একাধিক কার্যকলাপে যুক্ত তিনি। নয় ছয় করেন টাকা। সিয়ারামের মেয়ের আবেদনে সারা দিয়েছে প্রশাসন। দুর্গসম ওই বাড়িটি সিল করে দেওয়া হয়েছে।

    সিয়ারামের নামে অভিযোগ জানিয়েছেন গ্রামের এক বাসিন্দা রামেশ্বর গোন্ড নামে গ্রামের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, খ্যাতি লাভের আশাতেই সিয়ারাম দুর্গের মতো ওই বাড়িটি তৈরি করেছিলেন। ক্রমশ বাড়াতেই থাকছিলেন বাড়িটির উচ্চতা। গ্রামবাসীরা বিষয়নি ক্ষোভ প্রকাশ করার পর প্রশাসন নির্মাণ বন্ধ করে দেয়।

    রামেশ্বর আরও জানান, ভবনটি নির্মাণে যথাযথ অনুমোদন নেওয়া হয়নি । ঝড়-বৃষ্টিতে বিশাল উচ্চতার ওই বাড়ির অংশ যে কোনও সময় ভেঙে পড়ে বড় বিপদ ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছিলেন গ্রামবাসীরা। আশঙ্কা থেকে অনেকে তো আবার ঝড়-বৃষ্টির সময় ওই এলাকা ছাড়েন।

    ভয় পাচ্ছেন পথচারীরাও তবে যে কোনও সময় ওই বাড়ির অংশ রাস্তায় ভেঙে পড়লে ঘটতে পারে বড় বিপদ। এক টুকরোও যদি খসে পড়ে প্রাণহানীও হতে পারে কারও। ভেবেই আতঙ্কিত হচ্ছেন পথচারীরা। তবে ১৪ তলা দীর্ঘ ওই দুর্গসম বাড়িটি দেখতে আশপাশের এলাকা থেকে ভিড় জমাচ্ছেন অনেকেই।
  • Link to this news (এই সময়)